থাইল্যান্ডের নদীতে উন্মুক্ত হলো ৭০০ বছরের পুরনো বৌদ্ধ স্তূপ

বৌদ্ধ ঐতিয্য: থাইল্যান্ডের মেকং নদীর মাঝখানে একটি বৌদ্ধ স্তূপ উন্মুক্ত হয়েছে। বৌদ্ধ স্তূপটি থাইল্যান্ড এবং লাওসের মধ্যবর্তী সীমানায় থাই প্রদেশের নং খাইতে বলে চিহ্নিত হয়েছে। ফ্রা দ্যাট ক্লাং নাম স্তূপ নামে পরিচিত স্মৃতিস্তম্ভটি ৭০০ বছরেরও বেশি পুরানো বলে অনুমান করা হচ্ছে। মূলত নদীর তীরে নির্মিত, স্তূপটি ১৮৪৭ সালে মেকং-এ ভেঙ্গে পড়ে এবং তারপর থেকে এটি পানির নিচে ডোবে থাকে।

থাইল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধ ঐতিয্য ইতিহাস উরাংখাথাত (ফ্রাথাট ফানোম) অনুসারে, এটি সেখানে স্থাপিত মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ। ঐতিহাসিকদের মতে, বুদ্ধের পায়ের হাড়ের ধাতু স্তূপটিতে সংরক্ষিত আছে।

শীতকালীন বৃষ্টিহীনতার কারনে সাম্প্রতিক এই অঞ্চলে চলমান খরার কারণে নদীর তীরে জলের স্তর দ্রুত হ্রাস পেয়েছে। একদল পর্যটক নং কাই নদীর তীরে বেড়াতে আসলে বৌদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভটি দেখতে পান।

বৌদ্ধ ঐতিয্য: থাইল্যান্ডের নদীতে উন্মুক্ত হলো ৭০০ বছরের পুরনো বৌদ্ধ স্তূপ

পর্যটকদের অনেকে বৌদ্ধ ঐতিয্য স্তূপটি কাছে থেকে দেখার জন্য নৌকায় নিয়ে স্তূপের কাছে যায়। তাদের অনেকে  স্তূপটি স্পর্শ দেখে আবার কেউ কেউ এর ওপর সোনালি কাপড় মুড়িয়ে দিয়েছে।

একজন স্থানীয় নৌকা চালক জানিয়ছেন যে, নতুন উন্মুক্ত হওয়া স্তম্ভিটি দেখতে অনেক মানুষ আসছে প্রতিদিন। বর্তমানে এই অঞ্চলে প্রচুর নৌকার চাহিদা দেখা দিয়েছে।

থাইল্যান্ড পর্যটন কর্তৃপক্ষের মতে, স্তূপটির পানির নিচের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ থেকে জানা গেছে যে এটি প্রায় ১৭.২ মিটার চওড়া এবং ২৮.৫ মিটার লম্বা। এর কাঠামোটি তিন টুকরো হয়ে গেছে এবং চারপাশের জলের প্রবাহে কারনে দিন দিন এটি ক্ষয় হতে চলেছে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের আদমশুমারির তথ্য অনুসারে, থাইল্যান্ড প্রধানত একটি থেরবাদ বৌদ্ধ দেশ। দেশটির জনসংখ্যার ৯৪.৫ শতাংশ বৌদ্ধ। থাইল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম ইসলাম। এখানে ইসলাম ধর্মের অনুসারী শতকরা ৪.২৯%। খৃষ্টানরা আছে ১.১৭%।

শেয়ার করে সবাইকে পড়ার সুযোগ দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!