আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে নতুন বৌদ্ধ বিহার উদ্বোধন

আয়ারল্যান্ডের প্রথম বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ করেছে ভিয়েতনামী বৌদ্ধরা। আয়ারল্যান্ডে বসবাসকারী ভিয়েতনামী বৌদ্ধরা গত ৭ মে তাদের প্রতিষ্ঠিত প্রথম বৌদ্ধ বিহারটি উৎসর্গ ও উদ্বোধন করেছে। নব নির্মিত মিন ট্যাম প্যাগোডা নামে বৌদ্ধ বিহারটি আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের নেতৃত্বে ছিলেন ইংল্যান্ডের বার্মিংহামের তু ড্যাম তু প্যাগোড়ার প্রধান ভিয়েতনমী বৌদ্ধ ভিক্ষু থিচ ফুওক হিউ। জানা গেছে তিনি আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন বিহারের ভিজিটিং ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করবেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের জ্যেষ্ঠ ভিক্ষুগণ এবং আয়ারল্যান্ডের পরিবহন এবং পরিবেশ, জলবায়ু ও যোগাযোগের প্রতিমন্ত্রী জ্যাক চেম্বার্স।

আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে নতুন বৌদ্ধ বিহার উদ্বোধন

মন্ত্রী চেম্বার্স তার বক্তব্যে বলেন, “যারা এখানে এই সুন্দর মন্দিরটি তৈরি করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন এবং ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাদের সাথে আজকের আনন্দের দিনটি ভাগ করে নিতে পারাটা আমার জন্য ভাগ্যের ব্যাপার। ডাবলিনে প্রথম ভিয়েতনামী বৌদ্ধ মন্দিরের উদ্বোধন একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইল ফলক। এই নতুন বৌদ্ধ বিহারটি ডাবলিন এবং আয়ারল্যান্ডের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান ভিয়েতনামী বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের জন্য একটি কেন্দ্র হিসাবে কাজ করবে। এখানে বৌদ্ধ লোকজন উপাসনা, ধ্যান এবং বুদ্ধের শিক্ষা প্রতিফলনের জন্য একটি স্থান পাবে।  সেইসাথে লোকেদের একত্রিত হওয়ার এবং শক্তিশালী বন্ধন তৈরি করতে সহায়তা করবে বিহারটি।

তথ্যানুযায়ী আয়ারল্যান্ডে আনুমানিক ৪,০০০ এর বেশি ভিয়েতনামী বৌদ্ধ এবং দেশে প্রায় সর্বমোট ১০,০০০ এর বেশি ভিয়েতনামী লোক রয়েছে। আয়ারল্যান্ডে ভিয়েতনামী প্রথম ভিয়েতনামী অভিবাসীদের মধ্যে প্রায় ২০০ শরণার্থী অন্তর্ভুক্ত ছিল যারা ১৯৭৯ সালে ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট শাসন থেকে পালিয়ে এসে এখানে আশ্রয় নিয়েছে।

আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে নতুন বৌদ্ধ বিহার উদ্বোধন

মন্দিরটি একসময় একটি শিল্প কারখানা ছিল, যা প্রায় চার লক্ষ ইউরো বা US$440,000 ব্যয়ে সংস্কার করে বৌদ্ধ বিহারে রূপান্তর করা হয়েছে। নব প্রতিষ্ঠিত বিহারে প্রতি রবিবারের পাশাপাশি ভিয়েতনামী বৌদ্ধ ক্যালেন্ডারে পালিত ছুটির দিনে বৌদ্ধ প্রার্থনা ও অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা হয়। বিহারটিতে প্রায় ৫০০ জন লোক থাকতে পারে।

আরো পড়ুন>>

শেয়ার করে সবাইকে পড়ার সুযোগ দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!