মর্যাদাপূর্ণ Graweemeer পুরস্কার জিতেছেন বৌদ্ধ পণ্ডিত উইলিয়ামস

দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব এশীয় ভাষা-সংস্কৃতি ও শিনসো আইটিও সেন্টারের অধ্যাপক ডনকান রাইকেন উইলিয়ামস, Grawemeyer ধর্মীয় পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন।

গত শুক্রবার এক ঘোষণার পর দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও শিনসো আইটিও সেন্টারের অধ্যাপক ডনকান রাইকেন উইলিয়ামসকে জাপানী ধর্ম ও পূর্ব এশীয় ভাষা ও সংস্কৃতিতে অবদান রাখার জন্য এই পুরষ্কারে ভূষিত করা হয় বলে জানা গেছে। পুরষ্কারটি লুইসভিল বিশ্ববিদ্যালয় এবং লুইসভিল প্রিসবিটারিয়ান থিওলজিক্যাল সেমিনারিনের যৌথ উদ্যোগে প্রদান করা হয়েছে। পুরস্কার হিসেবে স্বারক ও ১০০,০০০ মার্কিন ডলারের চেক প্রদান করা হয়।

আমেরিকার লুইসভিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতি বছর পাঁচটি পুরষ্কার প্রদান করে থাকে যেগুলোকে Grawemeyer পুরষ্কার নামকরন করা হয়েছে। পুরস্কারের ক্ষেত্রগুলো হলো- বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান ধারণা, সঙ্গীত রচনা, ধর্ম এবং মনোবিজ্ঞান ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখা।

Grawemeyer Religion Prize
Grawemeyer Religion Prize

ধর্ম পুরস্কার যৌথভাবে লুইসভিল এবং লুইসভিল প্রিসবিটারিয়ান থিওলজিক্যাল সেমিনারী দ্বারা যৌথভাবে প্রদান করা হয়। সাধারনত পুরষ্কার হিসেবে ১৫০,০০০ মার্কিন ডলার ও স্বারক দেওয়া হয়।  এই নগদ পুরস্কারটি ২০০০ সাল থেকে দেওয়া শুরু হয় বলে সূত্র জানিয়েছে।

উইলিয়ামস তার লিখিত বই ”আমেরিকান সূত্র” তে একটি ঘটনা লেখেন। ঘটনাটির নাম দিয়েছেন, A Story of Faith and Freedom in the Second World War (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিশ্বাস ও স্বাধীনতার একটি গল্প)। মূলত এই গল্প থেকেই তিনি পুরষ্কার জিতেছেন। উল্লেখ্য, উইলিয়ামস একটি সোটো জেন বৌদ্ধ ধর্ম যাজক।

তার লেখা বইটিতে উইলিয়ামস জাপানের জনগনের পূর্বপুরুষের ডায়েরিগুলো পর্যালোচনা করেন। ১৯৪১ সালের ৭ ডিসেম্বর জাপান কর্তৃক পার্ল হারবারের উপর হামলা হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জাপানিদের আটক করে বন্দী ক্যাম্পে স্থানান্তরিত করে। প্রায় ১২৫,০০০ জন মানুষ সেখানে বন্দি হয়েছিল যাদের দুই-তৃতীয়ংশ বৌদ্ধ ধর্ম অনুসারী ছিল। মূলত তাদের রেখে যাওয়া ডায়েরিগুলো পর্যালোচনা করেই “আমেরিকা সূত্র” বইটি লেখা।

উইলিয়ামস তার বইতে দেখান যে, আটককৃতরা সামান্য কিছু জিনিসপত্র নিয়ে এক অনিশ্চিত যাত্রার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারাগারে থাকা বন্দিদের আনন্দ ও আশার আলোকে তিনি ফুটিয়ে ‍তুলে তার বর্ণনায়। তিনি দেখিয়েছেন যে বন্দিরা তখনও বৌদ্ধধর্ম অনুশীলন করেছিল। তারা বুদ্ধপূর্ণিমা পালন করার জন্য কারাগারেও নিজেদের মতো করো সাজিয়েছিল সব কিছু।

উইলিয়ামস তাকে পুরষ্কারের জন্য মনোনিত করার জন্য আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

 

আরো পড়ুন>>

শেয়ার করে সবাইকে পড়ার সুযোগ দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!