নমপেনে অনুষ্ঠিত হলো অষ্টম বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সংলাপ। কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে অনুষ্ঠিত হওয়া অষ্টম বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সংলাপ (8th Buddhist-Christian Colloquium)। ২৭–২৯ মে ২০২৫ তারিখে আয়োজিত এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন এশিয়া ও অন্যান্য অঞ্চলের খ্রিস্টান ও বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দ, পণ্ডিত ও ধর্মীয় প্রতিনিধি।
এই সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিল— “পুনর্মিলন ও সহনশীলতার মাধ্যমে শান্তির পথে বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানদের যৌথ যাত্রা”।
এবারের সংলাপে ১৬টি দেশের প্রায় ১৫০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছেন। উপস্থিত ছিলেন এশীয় বিশপ সম্মেলন ফেডারেশন (FABC)-এর সদস্যগণসহ, কম্বোডিয়ার বিশপ সম্মেলনের নেতৃবৃন্দ ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় ও মঠের প্রতিনিধিরা।
এই তিনদিন ব্যাপী আয়োজনে সংলাপ, আলোচনাসভা, ধ্যান ও আন্তধর্মীয় অভিজ্ঞতা বিনিময়ের পর্বগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।
সম্মেলনে আলোচিত হয়— সহিংসতা, বিভেদ ও সংঘাতে জর্জরিত বিশ্বে ধর্ম কিভাবে পুনর্মিলন, আরোগ্য ও সহনশীলতার বার্তা দিতে পারে।
ভ্যাটিকানের পক্ষ থেকে আয়োজক আন্তধর্মীয় সংলাপ বিষয়ক দপ্তর (Dicastery for Interreligious Dialogue) এক বিবৃতিতে জানায়: “এই সংলাপ শুধু দ্বিধা ও দূরত্ব ঘোচানোর চেষ্টা নয়, বরং মানুষের হৃদয়ে শান্তি ও নিরাময়ের বীজ রোপণের প্রয়াস।”
কম্বোডিয়ার মহান বৌদ্ধ ধর্মগুরু তাঁহার পবিত্রতা মহাঘোষানন্দ-এর ভূমিতে আয়োজিত এই সম্মেলনে তাঁর অহিংসা, ক্ষমা ও শান্তির বাণী ছিল আলোচনার অন্যতম প্রেরণা।
প্রতিনিধিরা বলেন, “আধ্যাত্মিক গ্রন্থ, সাধনার অভিজ্ঞতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা আমাদেরকে আজকের জটিল সময়ে আলোর পথ দেখাতে পারে।”
নমপেনে ধারাবাহিকতা ও ভবিষ্যৎ দিশা
উল্লেখ্য, এই আন্তর্জাতিক সংলাপের সপ্তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২৩ সালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে, যেখানে গুরুত্ব পেয়েছিল “মানবতা ও প্রকৃতির ক্ষত সারানোর যৌথ প্রয়াস”। এবারের সম্মেলন সেই চেতনারই আরও বিস্তৃত রূপ।
শেষ দিনে সম্মেলনের পক্ষ থেকে বলা হয়— “এই সংলাপ কেবল একটি ইভেন্ট নয়, বরং এটি শান্তির জন্য ধারাবাহিক আন্তধর্মীয় যাত্রার এক গুরত্বপূর্ণ মাইলফলক।”
প্রতিবেদন: বৌদ্ধবার্তা আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যোগাযোগ: bauddhabarta@gmail.com