মহাবোধি মন্দিরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা খারিজ

মহাবোধি মন্দির | নয়াদিল্লি, ৩০ জুন: বিহারের বোধগয়ায় অবস্থিত ঐতিহাসিক মহাবোধি মন্দিরের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের হাতে তুলে দেওয়ার দাবিতে করা একটি রিট আবেদন আজ সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দেয়। আদালত আবেদনকারীকে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট হাইকোর্টে তুলতে পরামর্শ দিয়েছে।

সাবেক মহারাষ্ট্র মন্ত্রী ও আইনজীবী সুলেখা নারায়ণ কুম্ভারের পক্ষে দায়ের করা এই মামলায় ১৯৪৯ সালের বোধগয়া মন্দির আইন–এর সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। উক্ত আইনে গঠিত ৯ সদস্যের পরিচালনা কমিটির অধিকাংশই হিন্দু সম্প্রদায়ের হওয়াকে কেন্দ্র করে আবেদনকারীর আপত্তি ছিল।

বিচারপতি এম এম সুন্দরেশ ও কে বিনোদ চন্দ্রনের বেঞ্চ বলেন, “আমরা এই পর্যায়ে কোনো নির্দেশ দিতে পারি না। অনুগ্রহ করে হাইকোর্টে যান। এটি সংবিধানের ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদের অধীনে গ্রহণযোগ্য নয়।”

আবেদনকারীর দাবি, এই মন্দির বৌদ্ধ ধর্মের পবিত্র তীর্থস্থান এবং এটি জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হওয়া সত্ত্বেও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের একক ব্যবস্থাপনায় নেই, যা সংবিধানের ১৯, ২১, ২৫, ২৬, ২৮ ও ২৯ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন।

মহাবোধি মন্দিরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা খারিজ

আবেদনে আরও বলা হয়, প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের (ASI) এক রিপোর্ট অনুযায়ী, পরিচালনার অব্যবস্থাপনার কারণে পবিত্র বোধিবৃক্ষ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

তবে বেঞ্চ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয় যে তারা বিষয়টি শুনানির জন্য গ্রহণ করছে না, তবে আবেদনকারী চাইলে হাইকোর্টে এই বিষয়ে আবেদন করতে পারেন।

প্রসঙ্গত, যদিও আইনগতভাবে হিন্দুদের সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত থাকলেও, ১৯৯৩ সালে বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে সংখ্যালঘু হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন আইন, ১৯৯২–এর অধীনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *