স্নায়ুবিক আবেদনে সাড়া দিতে পারে এমন রোবোটিক হাত তৈরী করে সাড়া পেলেছে জয় বড়ুয়া লাভলু। হাত হীন মানুষের অনেকে লাভলু বড়ুয়ার রোবোটিক হাতের গল্প শুনে আশায় বোক বেঁধেছে।
জয়ের তৈরি এই রোবোটিক হাত সাড়া দেয় মানুষের স্নায়বিক আবেদনে। শরীরের বিভিন্ন নার্ভের সাথে সংযুক্ত করে দিলে, কৃত্রিম হাতটি কাজ করে অনেকটা স্বাভাবিক হাতের মতোই।
যে কোনো দিকে ঘোরানো, মুষ্টিবদ্ধ করা, যে কোনো জিনিস ধরে ওপরে তোলার কাজ করা যায় এই রোবোটিক হাত দ্বারা। হাত মুষ্টিবদ্ধ করে পানি তুলেও খাওয়া যায়।
রোবোটিক হাত কন্ট্রোলিং
এই তরুণ উদ্ভাবক বলেন, তার উদ্ভাবিত রোবোটিক হাতটি, ভয়েস কন্ট্রোলিং, লেগ কন্ট্রোলিং, অটো টাচ কন্ট্রোলিং, ইএমজি কন্ট্রোলিং পদ্ধতিতে কাজ করে এই হাত।
লাভলু বড়ুয়ার তৈরী এই রোবোটিক হ্যান্ড বা কৃত্রিম হাত তৈরির গল্প বলতে গিয়ে জয় বড়ুয়া লাভলু জানিয়েছে, ২০১৭ সালের দিকে হাত তৈরির বিষয়টা তার মাথায় আসে। তখন এসএসসি শেষ করেছিল মাত্র।
শুরুতে মা-বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে রোবোটিক হাতটির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ কিনেছে। অধিকাংশ যন্ত্রাংশ দেশে পাওয়া যায় না বলে চড়া দামে বিদেশ থেকে এনেছে। এই পর্যন্ত তার কৃত্রিম রোবোটিক হাতের চারটা প্রজেক্ট আছে।
গৌতম বুদ্ধ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর চালু
উদ্ভাবক জয় বড়ুয়া লাভলুর তৈরি এই রোবোটিক হাত এর মধ্যে রপ্তানি হয়েছে তুরস্কে, বায়না আছে ভারত, মালয়েশিয়া থেকেও। দেশের হাসপাতালগুলোতে, বিদেশ থেকে আমদানি করা কৃত্রিম হাত সংযোজনে ব্যয় হয় কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকা। সেখানে জয় বড়ুয়ার তৈরি হাতের জন্য ব্যয় হবে মাত্র ৩০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা। কারণ এই কৃত্রিম হাত তৈরির খরচও অনেক কম।
ছোটবেলা থেকেই ইলেকট্রনিক্সের ব্যাপারে দারুণ আগ্রহী চট্টগ্রামের হাটহাজারির এই তরুণ। ঘরে ব্যবহৃত কোন জিনিস নষ্ট হলে তা খুলে ঠিক করতেন বাবা, এ দেখে তার আগ্রহটা জন্মে। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই জয় নিজেও মন দেন নতুন কিছু তৈরিতে।
২০১৯ সালে নাসা স্পেস অ্যাপ চ্যালেঞ্জে চট্টগ্রাম থেকে প্রথম স্থান অর্জন করে জয় বড়ুয়া ও তার দল। এসো রোবট বানাই টিভি শোতে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন লাভলু।
জয় বড়ুয়া লাভলু জানালেন, পরিবারে কিছুটা আর্থিক অনটন থাকায় ইচ্ছা থাকলেও অনেক কাজ করা সম্ভব হয় না। এজন্য পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। তবে পরিবারের সদস্যরা সবসময় তাকে উৎসাহ দেন, কাজে সহযোগিতা করেন। তারা প্রত্যাশা করেন লাভলু একদিন বড় বিজ্ঞানী হবেন।
জয়ের ইচ্ছে আরও সামনের দিকে। এই লক্ষ্যে কাজ করছে তার নেতৃত্বে আট সদস্যের দল। লক্ষ্য সহজ খরচে সাধারণ মানুষের কাছে আরও আধুনিক সেবা পৌঁছে দেয়া।
লাভলু ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হিসাবে জানান,ভবিষ্যতে তিনি একটি বড় রোবটিক্স প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবেন, যেখানে নানারকম উন্নত প্রযুক্তি আর সকল রোবটিক্স বিষয়ে গবেষণা করা হবে এবং নতুন প্রজম্ম কে সেই সকল কাজ সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়েছে।
সেই লহ্ম্য তিনি বাংলাদেশ রোবট সাইন্স এন্ড ইনোভেশন সেন্টার নামে একটি অর্গানাইজেশন চালু করেন, সেখানে তিনি স্কুল শিহ্মার্থীদের নিয়ে রকম রোবটিক্স সম্পর্কে ধারণা প্রদান করছেন।
আরো পড়ুন>>
- জরুরি অবস্থা জারি করেছে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট।
- নিউ ইয়র্কে দালাই লামা লাইব্রেরি স্থাপনের কাজ শুরু।
- আইয়ারল্যান্ডে প্রথম জেন বৌদ্ধ সেন্টার চালু।
- ইংল্যান্ডে বি আর আম্বেদকরের মুর্তি স্থাপন।
- গৌতম বুদ্ধ ও বৌদ্ধধর্মমত: নূহ উল আলম লেনিন।
- গৌতম বুদ্ধের জীবনী: জন্ম, বোধিজ্ঞান লাভ, ধর্ম প্রচার, মৃত্যু।