জাপানের ফুকুশিমা প্রিফকচারের হউকোকুজি আইজু বেটসুইন মন্দিরে একটি নারী মুর্তিকে মাস্ক পড়ানো হয়েছে।
গত মঙ্গলবার মন্দিরের কর্মীরা ৫৭ মিটার দির্ঘ্য ক্যানন বোধিসত্ত্ব নামক মুর্তিটির মুখের উপর মাস্কটি স্থাপন করে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোন ভাইরাস মহামারী থেকে রক্ষা পেতে প্রার্থনার অংশ হিসেবে তারা এটি করেছে।
ক্যানন বা গুয়ানইন (আভালোকিতেশ্বর) জাপানে দয়ার দেবী হিসাবে পরিচিত। যদিও বৌদ্ধ ধর্মে দেব-দেবীর কোন স্থান নাই তবুও জাপানী বৌদ্ধরা ক্যানন দেবীকে বৌদ্ধ সংস্কৃতির সাথে মিলিয়ে ফেলেছেন।
মাস্কটি উত্তোলন করতে চারজন শ্রমিকের তিন ঘন্টা সময় ব্যয় করতে হয়েছে। ৪.১ মিটার প্রস্থ ও ৫.৩ মিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট মাস্কটির ওজন ৩৫ কিলোগ্রাম। মন্দিরটির পরিচালক টাকোমি হরিগেনের মতে চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ভূমিকম্পের ফলে মুর্তিটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পরে মুর্তিটি পুনর্নির্মাণের পরিকল্পনা করার সময় শ্রমিকরা একটি মাস্ক পড়ানোর ধারণাটি সবার সাথে শেয়ার করে।
জাপানে COVID-19 সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত এই মন্দির কমিটি মূর্তির মুখে মাস্ক পরিয়ে রাখার পরিকল্পনা করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লুএইচও) তথ্য অনুসারে, জাপান এই পযর্ন্ত ৭৭৯৩৩৮ টি নিশ্চিত কভিড-১৯ কেইস রেকর্ড করেছে, যেখানে ১৪,২৬৯ জন রোগী মারা গেছে। মহামারীর প্রথমদিকে জাপান সংক্রমণ ঠেকাতে বেশিরভাগ সফল হয়েছিল। তবে ২০২১ সালে দুটি বড় ঢেউ সামলাতে জাপান হিমশিম খেয়েছেল, একটি জানুয়ারির শুরুর দিকে এবং অন্যটি মে মাসে।
উল্লেখ্য, ৬ জুন পযর্ন্ত জাপানে ১৫৬ মিলিয়ন ভ্যাকসিন ডোজ দেওয়া হয়েছে।
মূর্তিটি ৩৩ বছর আগে হউকোকুজি আইজু বেটসুইন মন্দিরে নির্মিত হয়েছিল। মুর্তিটি একটি শিশুকে ধারণ করে একটি প্রস্ফুটিত পদ্ম ফুলের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে। ভাস্কর্য সম্বলিত জাগয়াটি নিরাপদে নবজাতক প্রসব এবং নবজাতকের কল্যাণের জন্য প্রার্থনা করার জায়গা হিসাবে বেশ পরিচিত। মূর্তিটির অভ্যান্তরে ৪০ মিটার দির্ঘ্য একটি সিঁড়ি আছে। দর্শনার্থীরা সিঁড়ি বেয়ে মুর্তিটির কাঁধ পর্যন্ত উঠতে পারেন, সেখান থেকে জানালা দিয়ে পার্শ্ববর্তী ল্যান্ডস্কেপ দেখতে পাওয়া যায়।
আরো পড়ুন>>
- বুদ্ধ পূজা উৎসর্গ।
- বুদ্ধের ব্যবহৃত দ্রব্যাদি বন্দনা।
- প্রব্রজ্যা দশশীল প্রার্থনা।
- কানাডায় বৌদ্ধ আশ্রম নির্মানের অনুমোদন লাভ।
- একজন প্রাক্তন আইন প্রণেতা ও বুদ্ধের শিক্ষা।