ভোট ভাষা (Bhot language) ব্যবহার করে সংবাদ, তথ্য ও কর্মসূচির প্রচার ও সম্প্রচারের জন্য জাতীয় গণমাধ্যমে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য নেপাল বৌদ্ধ ফেডারেশন সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে। এ লক্ষ্যে ফেডারেশনের সভাপতি নুরবু থুন্ডু শেরপা (গেশে থুবতেন জিনপা) আজ যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুং-এর নিকট একটি স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, “নেপাল একটি বহুভাষিক, বহু সংস্কৃতির ও বহু ধর্মাবলম্বী দেশ। এখানে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব হলো সকল জাতিগোষ্ঠীর ভাষা, সংস্কৃতি ও পরিচয় সংরক্ষণ ও বিকাশে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।”
ভোট ভাষা, মূলত হিমালয় ও পার্বত্য অঞ্চলের জনগণের প্রধান ভাষা। এটি শুধুমাত্র একটি যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং শিক্ষাগত, ধর্মীয় ও ঐতিহাসিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বৌদ্ধধর্মের প্রাচীন গ্রন্থ ও অনুশীলন বহু আগে থেকেই এই ভাষায় অনূদিত হয়ে এসেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তম শতাব্দীতে বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থগুলো ভোট ভাষায় অনূদিত হয়েছিল — যা ভাষাটির ধর্মীয় গুরুত্বকে আরও স্পষ্ট করে।
নেপালের গোম্পা শিক্ষা ব্যবস্থা ২০৬৫ বিএস থেকে ভোট ভাষায় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক তৈরি করে আসছে। গোম্পা এবং কিছু কমিউনিটি স্কুলে এখন এই ভাষায় পাঠদান চালু রয়েছে। ফলে এই ভাষার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে প্রচার-প্রসারে রাষ্ট্রীয় মাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সভাপতি শেরপা আশা প্রকাশ করেন, মাতৃভাষা সংরক্ষণে অগ্রণী ভূমিকার জন্য পরিচিত মন্ত্রী গুরুং-এর মেয়াদকালে এই দাবির বাস্তবায়ন হবে। তিনি বলেন, “ভোট ভাষা সম্প্রচার কেবল ভাষার সংরক্ষণ নয়, বরং এটি সাংস্কৃতিক পরিচয় এবং বৌদ্ধ চেতনার পুনর্জাগরণ।”