ভারতে বুদ্ধগয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রথম আন্তর্জাতিক সংঘ ফোরাম। গত ২০ ডিসেম্বর প্রথম আন্তর্জাতিক সংঘ ফোরাম উদ্বোধন করেন নোবেল শান্তি পুরষ্কার প্রাপ্ত মহামান্য দালাই লামা।
এই সম্মেলনের প্রধান লক্ষ্য হল ২১ শতকে বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার ও প্রচার নিয়ে পরিকল্পনা ও বিভিন্ন বৌদ্ধ ঐতিহ্যের অনুশীলনকারীদের মধ্যে সহযোগিতা এবং সংলাপ করা। ভারতের বুদ্ধগয়ায় অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানটি ৩০টি দেশের প্রায় ২০০০ এরও বেশি বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দ এবং বৌদ্ধ ভিক্ষু অংশগ্রহণ করেন।
চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে থেরবাদ বৌদ্ধ ভিক্ষুরা পালি ভাষায় করণীয় মৈত্রী সূত্র পাঠ করেন। বারাণসীর সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের বৌদ্ধ ভিক্ষুরা সংস্কৃতে মঙ্গলসূত্র পাঠ করেন। আন্তর্জাতিক সংঘ ফোরামের সেক্রেটারি, উই নি এনজি, ফোরামে আগত অতিথিদের স্বাগত জানান এবং বলেন যে অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য হলো বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ভিন্ন ভিন্ন বৌদ্ধ ঐতিহ্যের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং বৌদ্ধ ধর্মের ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা করা।
এই সমাবেশের আরেকটি অন্যতম লক্ষ্য হল বৈচিত্র্যময় বৌদ্ধ ঐতিহ্যের মধ্যে পার্থক্য দূর করা এবং পারস্পরিক শিক্ষা ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করা। অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু, এই ধরনের ফোরামের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন, পালি ও সংস্কৃত ঐতিহ্যকে সমর্থনকারীদের একসাথে বসার সুযোগ করে দেওয়ায় ফোরামের আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বৌদ্ধধর্মের যে ঐতিয্যেই আপনি বিশ্বাস বা আচারন করেন তাতে বুদ্ধের মূলিক শিক্ষা পাবেন। তাই আপনি মহাযানী বা হীনযানী, পালী বা সংস্কৃত যে দলেরই হোন বুদ্ধের শিক্ষাই আমরা মানচি।
দালাই লামা বলেন, “এই পরিস্থিতিতে আমরা যদি একটা উষ্ণ-হৃদয় গড়ে তুলতে পারি, তবে আমরা কেবল শারীরিকভাবে স্বস্তি বোধ করব না, আমাদের মন আনন্দে পূর্ণ হবে। সাথে সাথে পর জন্মেও আমরা মহৎ হৃদয়ের মালিক হবো।”
গত ২৩ ডিসেম্বর বৌদ্ধধর্মের অন্যতম পবিত্র স্থান মহা বোধি মন্দিরে বিশ্ব শান্তির জন্য প্রার্থনার মাধ্যমে অধিবেশনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।