প্রাচীন বৌদ্ধ ধ্বংসাবশেষ: ৩০ বৌদ্ধ সংস্কৃতি ফিরিয়ে এনেছে চীন। চীন ও তাইওয়ানের যৌত সহযোগীতায় এই ৩০টি প্রাচীন বৌদ্ধ ধ্বংসাবশেষ ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে চীন। এই সময় তাইওয়ানের নাগরীকদের সর্বাত্ত্বক সহযোগীতা ছিল।
এই ঐতিয্যবাহী বৌদ্ধ ধ্বংসাবশেষগুলো ফিরিয়ে আনতে ইউনাইটেড অ্যাসোসিয়েশন অফ হিউম্যানিস্টিক বুড্ডিজম, চুংহুয়ার পক্ষ থেকে প্রায় ২০০ জনের একটি প্রতিনিধি দল বেইজিংয়ে থেকে তাইওয়ান যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশিরভাগ ধ্বংসাবশেষ বিদেশে নিয়ে যাওয়ার সময় শানসি প্রদেশ থেকে চুরি করেছিল আন্তর্জাতিক চোরচক্র।
চীন ও তাইওয়ানের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আয়োজনের মাধ্যমে এই সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষগুলো জাতীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রশাসনের হাতে বিনিময় সম্পন্ন হয়।
গত সোমবার চীনের বেইজিংয়ে জাতীয় জাদুঘরে একটি অনুদান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভাঙ্গা বৌদ্ধ মূর্তি এবং বুদ্ধের আঁকা ভাস্কর্যের মাথা সহ ফেরত আসা ১৩টি টুকরো জনসম্মোকে প্রদর্শন করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞগণ মনে করছেন, ফেরত আনা ধ্বংসাবশেষগুলি আনুমানিক সং (960-1279) থেকে মিং (1368-1644) রাজবংশের হতে পারে।
প্রাপ্ত মুর্তিগুলোর মাথায় পাওয়া কাটা দাগ বিশ্লেষণের ফলে অনুমান করা যায় যে সেগুলি প্রায় ৩০ বছর আগে চুরি হয়ে থাকতে পারে, কারণ ১৯৯৩ সালে কিছু বৌদ্ধ মূর্তি শানসি মন্দির থেকে একইভাবে কেটে চুরি করা হয়েছিল। পরে সেগুলি খুঁজে পাওয়া যায় এবং তাইওয়ান থেকে ১৯৯৯ সালে ফিরিয়ে আনা হয়।