উচ্চপ্রু মারমা, রাজস্হলী রাঙ্গামাটি::
নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা আষাঢ়ী পূর্ণিমা উদযাপন করেছেন। দিনটি বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এই তিথিতেই গৌতম বুদ্ধ মাতৃগর্ভে আগমন, গৃহত্যাগ এবং বোধি লাভের পর প্রথম পঞ্চবর্গীয় শিষ্যকে ধর্মচক্র দেশনা দেন। এই আষাঢ়ী পূর্ণিমাতেই সংযম পালনে ব্রত হতে আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বীনি পূর্ণিমা তিথি পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাস শুরু করেন এবং ভিক্ষু সংঘকে নির্দেশ দেন।
আজ (১ আগস্ট) রাজস্হলী উপজেলা বাঙ্গালহালিয়ার কেন্দ্রীয় সর্বজনীন বৌদ্ধ বিহার, বাঙ্গালহালিয়া হেডম্যান পাড়া বৌদ্ধ বিহার, ডাক বাংলা বৌদ্ধ বিহার, কাকড়াছড়ি বৌদ্ধ বিহার, নাইক্যছড়া বৌদ্ধ বিহারে সকাল থেকে চলছে পঞ্চশীল ও অষ্টশীল গ্রহণ, সমবেত প্রার্থনা, চীবরদান, গুরু ভক্তি, ছোয়াইং দান (ভান্তেদের খাবার দান), মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনসহ নানান অনুষ্ঠান। বিকেলে বুদ্ধমূর্তি স্নান, ধর্মদেশনা, হাজার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন এবং দেশ, জাতি তথা সমগ্র বিশ্বের মঙ্গল কামনায় প্রার্থনার মধ্যদিয়ে শেষ হবে আষাঢ়ী পূর্ণিমার আয়োজন।
এ সময় বিহারে ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন বাঙ্গালহালিয়া হেডম্যান পাড়া বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ উ নাইন্দাওয়াংসা ভিক্ষু এবং নাইক্যছড়া মহা বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ খেমাচারা মহাথের। সমবেত প্রার্থনায় হাজির হয়ে পঞ্চশীল ও অষ্টশীল গ্রহণ করেন বিহারের পরিচালনা কমিটি সভাপতি ৩২০নং কাকড়াছড়ি মৌজা হেডম্যান ক্যশৈথুই চৌধুরী এবং বাঙ্গালহালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আদোমং মারমা সহ দায়ক-দায়িকা ও উপাসক-উপাসিকারা।
প্রসঙ্গত, আষাঢ়ী পূর্ণিমা উপলক্ষে তিন মাস বর্ষাবাস ব্রত পালন করেন বৌদ্ধ ভিক্ষুরা। গৃহীরা পালন করেন অষ্টশীল। এ সময় সংযম পালনের মধ্য দিয়ে ন্যায়, সৎপথে চলা, বুদ্ধের জীবনানুসারণ এবং পরোপকারে মনোনিবেশ করেন বৌদ্ধরা।