মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গাড়ি বহরের উপর হামলায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল সহ ২৫ সেনা সদস্য নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। খবরটি প্রচার করেছে মিয়ানমার ভিত্তিক অনলাইন নিউজ পোর্টার দ্য ইরাবতী।
গত শনিবার (৭ মে) কায়াহ রাজ্যের প্রুসো টাউনশিপে মিয়ানমার সেনাবাহিনী কে লক্ষ্য করে এই ঘটনা ঘটে। কারেনি ন্যাশনালিটিজ ডিফেন্স ফোর্স (কেএনডিএফ) এবং কারেনি আর্মি (কেএ) এই আক্রমনের দায় স্বীকার করেছে।
রাজ্যের বাওলাখে টাউনশিপ থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ২০টি সামরিক ট্রাক সহ একটি বহর শনিবার সকালে ল কেয়াল খু গ্রাম অতিক্রম করার সময় কারেনি ন্যাশনালিটিজ ডিফেন্স ফোর্স (KNDF) এবং কারেনি আর্মি (KA) দ্বারা আক্রমণের শিকার হয়। মিয়ানমার সেনাবাহিনী-র সাথে দুই গ্রুপের প্রায় দুই ঘন্টা লড়াই চলে সেখানে।
মিয়ানমার সেনাবাহিনী ১০০ টিরও বেশি বৌদ্ধ মঠ ও খ্রিষ্টান গির্জা ধ্বংস করেছে
সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠী KNDF এবং KA এর পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনী বহরের শেষের চারটি ট্রাক পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই সময় একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল সহ প্রায় ১৮ জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছে।
ইরাবতীর পক্ষ থেকে স্বীকার করা হয়েছে যে, তারা স্বাধীনভাবে প্রতিবেদনটি যাচাই করতে পারেনি।
কেএনডিএফ অস্ত্রধারীদের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়েছে যে, তারা ট্রাকে খাবার, অস্ত্র এবং 66 Light Infantry Division (LID) এর সৈন্যদের মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছে। 66 Light Infantry Division (LID) হলো মিয়ানমার সেনাবাহিন-র একটি শক্তিশালী ইউনিট।
বিকালে আরো একদফা সংর্ঘষ হয় যা ২ ঘন্টা মতো স্থায়ী হয়েছিল। এই সময় আরো ৭ জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছে বলে দাবী করে কেএনডিএফের একজন মুখপাত্র। শনিবার বিকাল নাগাদ ৭ জন সহ মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৫ জন। অস্ত্রধারীদের দাবী তাদের একজন যোদ্ধা হালকা আহত হয়েছে।
KNDF এবং KA এর প্রকাশিত একটি অনলাইন ভিডিওতে দেখা গেছে KNDF এবং KA অস্ত্রধারীরা মিলিটারি ট্রাককে লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে। রাস্তার পাশে পড়ে আছে সেনা পোশাক পরিহিত কয়েকটি লাশ।
মিয়ানমার সেনাবাহিনী র উপর কেন এই হামলা
গত ২৪ ডিসেম্বর, 66 Light Infantry Division (LID) সৈন্যদের বিরুদ্ধে শিশু, মহিলা এবং সেভ দ্য চিলড্রেনের দুই সদস্য সহ প্রায় ৩৫ জন বেসামরিক মানুষকে হত্যা করার এবং প্রুসো টাউনশিপে সাতটি গাড়ি পুড়িয়ে দিয়ার অভিযোগ আছে।
সে সময় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানোর পাশাপাশি মানবাধিকারের প্রতি সম্মান ও বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং হত্যার জবাবদিহিতার আহ্বান জানিয়ে সকল সহিংসতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিল।
প্রায় দেড় বছর ধরে কায়াহ রাজ্যে যুদ্ধ সেনাবাহিনী বিরোধী যুদ্ধ চলছে। গত বছর জান্তা সরকার বিমান হামলা এবং কামান ব্যবহার করে এবং ২০০,০০০ বাসিন্দাদের বেশিরভাগ বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে।
আরো পড়ুন>>
- গৌতম বুদ্ধ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর চালু ১৬ মে।
- শ্রীলঙ্কায় জরুরী অবস্থা জারি।
- শ্রীলঙ্কার জন্য সাহায্য প্রার্থনা করেছে, ইয়োহানি।
- শ্রীলঙ্কানদের শান্ত থেকে পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে অনুরোধ করেছে আজান ব্রহ্ম।
- গৌতম বুদ্ধ ও বৌদ্ধধর্মমত নিয়ে কি বলেছেন, নূহ উল আলম।
- গৌতম বুদ্ধের পূর্ণাঙ্গ জীবনী।