নিউজ ডেস্ক:
মানব সেবায় অবদান এবং সমাজকে পরিবর্তনের জন্য গৌরবময় মহান একুশে পদক পেয়েছেন বাংলাদেশি বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু ঐতিহ্যবাহী চট্রগ্রাম নন্দনকানন বৌদ্ধ বিহারের বিহার প্রধান সংঘরাজ ডঃ জ্ঞানশ্রী মহাথেরো মহোদয়।
ডঃ জ্ঞানশ্রী মহোদয়ের কাছে এই মহান পুরষ্কার অর্জনের অনুভূতি জানতে চাওয়া হলে উত্তরে বলেন, “আমার জীবনে অনেক পুরষ্কার পেয়েছি। কিন্তু জীবনের শেষ বয়সে রাষ্ট্রীয়ভাবে এই স্বীকৃতি পাওয়ার অনুভূতি অন্যরকম। এটা শুধু আমার সম্মান নই, সমগ্র বৌদ্ধজাতির সম্মান। আশা করছি, তরুণ প্রজন্মরা অনুপ্রাণিত হবে। তারাও দেশের সেবায় এবং জাতির কল্যানে নিজেকে নিয়োজিত রাখবে।“
বৌদ্ধ সমাজের এই নক্ষত্র জন্ম গ্রহণ করেন ১৯২০ সালে, রাউজানের উত্তর গুজরা ডোমখালী গ্রামে। ভিক্ষুত্ত্ব জীবন লাভের আগে ড. জ্ঞানশ্রী মহাথের’র গৃহী নাম ছিল লোকনাথ বড়ুয়া।
ত্যাগী পুরুষকে পূণ্যবাণ পিতা-মাতা যথাক্রমে প্রেম লাল বড়ুয়া ও মেনেকা রানী বড়ুয়া। মমতাময়ী মা কে হারিয়েছেন খুব ছোটকালেই।
ড. জ্ঞানশ্রী মহাথের ১৯৪৪ সালে উপ–সংঘরাজ ভদন্ত গুনালংকার মহাথেরোর কাছেই শ্রামণ ধর্মে দীক্ষা নেন। পরবর্তীতে ১৯৪৯ সালে উপসম্পদা লাভ করেন। ৯৭ বছর বয়সী এই মহান পুরুষের নিজস্ব অর্থায়নে সারা দেশে ২০টির বেশি অনাথ আশ্রম স্থাপন ও রক্ষানাবেক্ষণ করছেন। যেখান থেকে অসংখ্য হত–দরিদ্র ছেলে মেয়েরা পড়ালেখা থেকে শুরু করে যাবতীয় সাহায্য–সহযোগিতা পাচ্ছে।
তার হাত ধরেই অসংখ্য প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জীবনের শেষ বয়সে এসে নিজস্ব একটি তহবিল ও গঠন করেছেন যেখানে সমাজের উন্নতির জন্য ২৫০ কোটি টাকা দান করেছেন।
আরো পড়ুন>>
- রামুতে বৌদ্ধ যুবকের লাশ উদ্ধার।
- এসএসসি’২১ বৃত্তিতে বৌদ্ধ শিক্ষার্থীদের সাফল্য।
- কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে বৌদ্ধ প্রদর্শনী।
- বুদ্ধের সার্বজনীন উপদেশ “চারি ব্রহ্ম বিহার”।
- বৌদ্ধ কাহাকে বলে ও তাঁহার গুরু কে।
- বুদ্ধের অনাত্মবাদ ও জন্মান্তরবাদ।