কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে বৌদ্ধ প্রদর্শনী

নিউ ইয়র্ক সিটির কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ওয়ালাচ আর্ট গ্যালারি “What is the Use of Buddhist Art” শিরোনামে একটি প্রদর্শনী চালাচ্ছে। প্রদর্শনীটি গতবছর ৪ ডিসেম্বর শুরু হয়েছিল এবং চলতি ২০২২ সালের ১২ মার্চ পর্যন্ত চলে বলে জানা গেছে।

এই প্রদর্শনীর মূল উদ্দেশ্য হল বৌদ্ধ সভ্যতার বস্তুগুলিকে তাদের আচারের প্রেক্ষাপটে প্রদর্শন করা, এগুলোর উৎপাদন এবং ব্যবহার উভয়ই দেখানো। প্রদর্শনটি সুন্দর করার জন্য যাদুঘর কমিটি সমস্ত বৌদ্ধ জিনিসপত্রগুলো বেশিরভাগ আর্ট গ্যালারি এবং যাদুঘর প্রদর্শনী থেকে আলাদা করা রেখেছে।

Columbia University
Columbia University Art Galley

“What is the Use of Buddhist Art?” নামের বৌদ্ধ প্রদর্শনিটি পরিচালনা করছেন বার্নার্ড কলেজের এশিয়ান এবং মধ্যপ্রাচ্য সংস্কৃতি বিষয়ক অধ্যাপক ড. ম্যাক্স মোরম্যান। মোরম্যানের মতে, “এই প্রদর্শনীটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৌদ্ধ দর্শন অনুশীলন এবং ব্যবহারের প্রেক্ষাপটে বৌদ্ধ দৃশ্য এবং বস্তুগত সংস্কৃতির প্রশংসা করার একটি সুযোগ। অবশ্যই এটি বৌদ্ধধর্মের পবিত্র ও নৈবেদ্য, দৃশ্যায়ন এবং সুরক্ষা, নিরাময় এবং উর্বরতা, মৃত্যু এবং স্মৃতিচারণে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।”

দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের সহ-প্রধান শিল্প সমালোচক হল্যান্ড কোটার প্রদর্শনীটি ভ্রমণ করে মন্তব্য করেন, “১৯৮৩ সালে জাপান ভ্রমণের সময় প্রথম বৌদ্ধ অনুশীলনকারীদের টোকিও জাতীয় যাদুঘরে প্রদর্শিত কাজের সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করার অভিজ্ঞতা লাভ করেছিলাম। প্রদর্শনিটি থেকে অনেক কিছু শিক্ষা নেওয়ার আছে। বুদ্ধের দর্শন অনুশীলন ও শিক্ষালাভ করার একটি উত্তম উদাহরণ এটি। যখন আমি নবম শতাব্দীতে জাপানে প্রদর্শনি দেখতে গিয়েছিলম আমি দেখলাম বুদ্ধের গৌরবময় কাঠের ভাস্কর্যের দন্ডায়মান মুর্তি। আমার কাছাকাছি একজন দর্শনার্থী দ্রুত হাত জোড় করে আমাকে দুবার প্রণাম জানাল যা এমন কিছু (আমি শিখলাম) মন্দিরে দর্শনার্থীরা দেবতাকে সম্মান জানাতে করে।”

ওয়ালাচের প্রদর্শনীর বর্ণনা দিতে গিয়ে, কোটার বলেন-

প্রদর্শনিতে যা আছে তার বেশিরভাগই দাম্ভিক বা মনুমেন্টালের বিপরীত। তিব্বত থেকে আসা একটি তামা এবং ফিরোজা তাবিজ বাক্স, একটি প্রতিরক্ষামূলক চিত্র যা এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, এটি একটি পার্সে রাখা বা বেল্টে পরিধান করার জন্য যথেষ্ট ছোট। একটি ছোট প্যাগোডা আকৃতির কাঠের স্তূপ, অষ্টম শতাব্দীর একজন জাপানি সম্রাজ্ঞীর মুর্তি যিনি তারা দ্বারা নিহত শত্রুদের মৃত্যুর জন্য প্রায়শ্চিত্ত করছে। দাবার গুটির আকারের প্রতিটি স্তূপের ভিতরে একটি মুদ্রিত মন্ত্র থাকে, যার সবটা দেখা না যাচ্ছে না।

প্রদর্শনীতে এমন অনেক বস্তু রয়েছে যা প্রথমবারের মতো সর্বজনীন প্রদর্শনে সুযোগ করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশাল এই বৌদ্ধ সংগ্রহ প্রায় দুই শতাব্দীরও বেশি সময়ের যা মূলত কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র এবং অনুষদদের দ্বারা সংগ্রহ ও দান করা হয়েছে।

 

আরো পড়ুন>>

 

 

শেয়ার করে সবাইকে পড়ার সুযোগ দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!