দুই বাংলার বৌদ্ধ আলোকবর্তিকা, পন্ডিত হেমেন্দু বিকাশ চৌধুরী আজ ভোরে দেহত্যাগ করেছেন (অনিচ্চা বত সংখারা. . . . )।
হেমেন্দু বিকাশ চৌধুরী কলকাতার ধর্মাংকুর সভা’র সভাপতি। তিনি একজন নাম করা সহিত্যিক, মূলত একজন কবি হলেও পরে বিভিন্ন মানসম্পন্ন রচনার দ্বারা প্রাবন্ধিক হিসেবেও প্রতিষ্ঠা পান।
জগজ্জ্যোতির কয়েকটি স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করে নিজেকে উচ্চ মাত্রায় নিয়ে যান তিনি। বস্তুত তিনি ভারতের নব প্রজন্মের বৌদ্ধদের সামনে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরেন এবং অন্যান্যদের সামনে তা উপস্থাপিত করেন; সাথে সাথে সমাজকর্ম ও সদ্ধর্মের সেবা করে নিজেকে আরও সমৃদ্ধম করেন। বর্তমান সময়ে গুটি কয়েক বৌদ্ধ ব্যাক্তিদের মধ্যে তিনি ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে অতি জনপ্রিয় এক ব্যক্তিত্ববান লেখক এবং মেধা ও মননের সিদ্ধ পুরুষ।
অখিল ভারতীয় সংঘনায়ক, ধর্মাংকুর বিহারের অধ্যক্ষ, শ্রদ্ধেয় ধর্মপাল মহাথের’র মৃত্যুর পর কিছুটা শূন্য শূতা দেখা দিলে তিনি তাঁর কর্মশর্মক্তি ও অভিজ্ঞতা দিয়ে তা পূরণ করেছিলেন। অধিকন্তু রাজগৃহে বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ করে বৌদ্ধ ধর্মাংকুর সভার মর্যাদাকে বৃদ্ধি করেছিলেন। তিনি পবিত্র বুদ্ধগয়ায় বাংলাদেশ বৌদ্ধ বিহার নির্মাণেও সহযোগিতা করেছিলেন।
তাঁর প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সঙ্ঘের সাথে বৌদ্ধ ধর্মাংকুর সভা ও ধর্মাংকুর বিহারের দীর্ঘদিনের সম্পর্ককে আরও উন্নত হয়েছে।
ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে সমুন্নত রেখে ভারত-বাংলাদেশের বৌদ্ধ তরুণ-তরুণীর মাঝে বৌদ্ধধর্ম ওর্ম সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দিতে বাবু হেমেন্দু বিকাশ চৌধুরীর অক্লান্ত পরিশ্রম ভুলার নয়। আমরা তার পারলৌকিক শান্তি কামনা করছি।
আরো পড়ুন>>
- তালেবান বৌদ্ধ ঐতিয্য রক্ষার তত্ত্বাবধানের বৈধতা পেতে চায়।
- থাই সংঘরাজ সোমদেট ফ্রা মহা রতচামাঙ্গলাচর্ন মারা গেছেন।
- হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ে বৌদ্ধ স্ট্যাডিজের উপর ভর্তি চলছে।
- মর্যাদাপূর্ণ পুরষ্কার জিতেছেন বৌদ্ধ স্কলার উইলিয়াম।
- করণীয় মৈত্রী সূত্র পালি ও বাংলা।
- জিনপঞ্জর গাথা।
- মৈত্রী ভাবনা।
- আঙ্গুলীমাল পরিত্রাণ।