থাই ভিক্ষুণী মা চি সানসানি পরলোকগমণ করেছেন

থাইল্যান্ডের জনপ্রিয় বৌদ্ধ ভিক্ষুণী মা চি সানসানি স্থিরসুতা, দূরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) মারা গেছেন (অনিচ্চ বত সংখরা…….)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।

সানসানির উল্লেখযোগ্য কর্মকাণ্ডের মধ্যে তার প্রতিষ্ঠিত ব্যাংককে সাথিরা-ধম্মস্থান শিক্ষা কেন্দ্র, মহিলাদের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র বান সাই সাম্পান এবং সাবিকশিখালাই মহাভিচালাইধাম্মা বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান।

মঙ্গলবার রাত ৮টায় সাথিরা-ধম্মস্থান ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে তার মৃত্যুর খরব ঘোষণা করা হয় (অনিচ্চ বত সংখরা…….)।

মা চি সানসানি স্থিরসুতা ২০১৭ থেকে পাকস্থলীর ক্যান্সারে ভুগছিলেন। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসার মাধ্যমে তার অবস্থার উন্নতি হলেও ২০২০ সালে আবারও একটি ক্যান্সারের টিউমার পাওয়া যায় তার শরীরে। ফলে দ্বিতীয় দফায় চিকিৎসা শুরু হলেও অবস্থা দিন দিন অবনতির দিকে চলে যায়। ৩ ডিসেম্বর, ২০২১ তার অবস্থার চরম অবনতি হয় এবং দায়িত্ব প্রাপ্ত ডাক্তার জানতে পারলেন যে তার টিউমার বেড়েছে এবং ব্যপাকভাবে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়েছে।

৬ ডিসেম্বর, ২০২১ তার অনুরোধের প্রেক্ষিতে, মা চি সানসানি স্থিরসুতাকে সাথিরা-ধম্মস্থান কেন্দ্রে ফিরিয়ে নেওয়া হয় এবং সেখানেই মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬:২৩ টায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

তার অন্তেষ্টিক্রিয়ার দিন-ক্ষণ এখনো জানা যায়নি। সাথিরা-ধম্মস্থান ফাউন্ডেশন শীঘ্রই শেষকৃত্যের পরিকল্পনা ঘোষণা করবে বলে জানা গেছে।

মা চি সানসানি স্থিরসুতা তার প্রথম জীবনে থাইল্যান্ডে একজন শীর্ষ ফ্যাশন মডেল হিসেবে বেশ পরিচিত ছিল। পিতৃহীন মা চি মায়ের যত্নেই বেড়ে ওঠেন। মা চির বয়স যখন ১৫ বছর তখন তার মা মারা যান।

পরিনত বয়সে সে মডেলিং শিল্পকে বেছে নিয়েছিলেন এবং এই সেক্টরে বেশ উন্নতিও করেছিলেন। পরে তিনি অনুভব করেছিলেন যে তার এই জীবনের অর্থই নেই। ২৭ বছর বয়সে তিনি বর্ণাঢ্য মডেলিং ক্যারিয়ার ত্যাগ করে ভিক্ষুণী ধর্মে দীক্ষা নেন এবং ধর্ম প্রচারে আত্মনিয়োগ করেন।

১৯৮৭ সালে মা চি সানসানি স্থিরসুতা ব্যাংক শহরতলীতে সাথিরা-ধম্মস্থান ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। তার প্রতিষ্ঠিত শিক্ষামূলক এবং রিট্রিট সেন্টারের প্রাথমিক কাজ ছিল যৌন নির্যাতনের শিকার নারীদের এবং অবাঞ্ছিত গর্ভধারণকারী একক মাদের সাহায্য করা। পরবর্তীতে কারাগার এবং সংশোধনাগারে সুবিধাবঞ্চিত মহিলাদের জন্যও তার প্রতিষ্ঠানের কাজ প্রসারিত হয়।

আমরা তার নির্বাণ সুখ কামনা করছি।

 

আরো পড়ুন>>

শেয়ার করে সবাইকে পড়ার সুযোগ দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!