চারটি প্রধান ধর্মের গুরুদের নিয়ে অনলাইনে আলোচনা সভাঃ যুক্ত হোন আপনিও

“Spiritual Practices During a Crisis”  শিরোনামে একটি আন্তঃমানবিক ওয়েবিনার আয়োজন করতে যাচ্ছে “ডিয়ার পার্ক ইনস্টিটিউট”। অনুষ্ঠানটি ৬ জুন, ২০২১ থেকে বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, হিন্দু এবং শিখ জনগোষ্টীয় অংশগ্রহণকারী অতিথিদের নিয়ে অনলাইনে শুরু হবে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সকল জনগোষ্টির মানুষ নিজেদের ধর্মীয় জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, আধ্যাত্মিকতা, প্রজ্ঞা এবং কল্যাণের বিষয়ে সবার সাথে বিনিময় করার ‍সুযোগ লাভ করবে।

ইনিস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ বলেছে, “ডিয়ার পার্ক ইনস্টিটিউ কর্তৃক আয়োজিত অনলাইন অনুষ্ঠানে বৌদ্ধ, হিন্দু, খ্রিস্টান এবং শিখ ধর্মের শীর্ষস্থানীয় ধর্ম জাযক ও ধর্মীয় বিশেষজ্ঞগণ আমন্ত্রীত হয়েছেন এবং তাঁরা আগ্রহের সাথে আমন্ত্রণ গ্রহণও করেছেন। এই অনলাইন ওয়েবনিয়ারের মাধ্যমে তাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত, অভিজ্ঞতা ধর্মীয় আচার, রীতি-নীতি দর্শকদের সামনে উপস্থানপন করতে করবেন।“

আয়োজক কমিটি আরো বলেন, “এই অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দেবেন কলোরাডোর বোল্ডারের নরোপা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. এলেন ইউয়েন; ডাঃ আশা সি শিপম্যান, ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু পন্ডিত, গুস্তাভ এরিকসন, সুইডেন থেকে খ্রিস্টান কারাগার ও হাসপাতালের ধর্ম জাযক, ARTH(মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান) এর প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ নিবেদিতা চালিল এবং দিল্লির RAHAO School of Life এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা অবনীত কৌর।”

ডিয়ার পার্ক ইনস্টিটিউট, ”সিদ্ধার্থস ইন্টেন্ট সোসাইটি’র” আওতাধীন একটি প্রকল্প। সিদ্ধার্থস ইন্টেন্ট সোসাইটি ২০০৬ সালে উত্তর ভারতের হিমাচল প্রদেশের বীর শহরে জাজংসার খিয়েন্টসে রিনপোচে কর্তৃক প্রতিষ্ঠি একটি নিবন্ধিত শিক্ষাব্যবস্থা। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ভারতের প্রাচীন ও গভীর ধ্রুপদী জ্ঞানের ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রচারের লক্ষ্যে এই ইনস্টিটিউটটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

”ডিয়ার পার্ক” নামটি সারনাথের ঐতিহাসিক মৃগদাব উদ্যানে শাক্যমুনি বুদ্ধের প্রথম ধর্মপ্রচারের ঘটনা স্মরণে রাখা হয়েছিল। জংসার জামায়াং খায়েন্টসে রিনপোচে একজন ভুটানী লামা। তিনি একাধারে  শিক্ষক, চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং লেখক। ভারতে তাঁর প্রতিষ্ঠিত “ডিয়ার পার্ক ইনস্টিটিউটটি” একটি বৌদ্ধ ধর্মীয় শিক্ষাদান কেন্দ্র।

“Spiritual Practices During a Crisis,” শিরোনামে অনলাইন ওয়েবনারটি ৬ জুন, ২০২১ এ মূলত ইংরেজীতে পরিচালিত হবে এবং জুমের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। অনুষ্ঠানটি পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকে যে কেউ ইচ্ছা করলে দেখতে পারবেন।

অনুষ্ঠানটি কোন দেশ থেকে কোন সময়ে চলবে:

লোকেশন বার শুরু সময় শেষ সময়
ঢাকা রবিবার ১৮:৩০ ২০:৩০
অকল্যান্ড সোমবার, ১:৩০ ০৩:৩০
ক্যানবেরা সোবমার ২৩:৩০ ০১:৩০
সিউল, টোকিও রবিবার/সোমবার ২২:৩০ ০০:৩০
বেইজিং, হংকং, সিঙ্গাপুর, তাইপেই রবিবার ২১:৩০ ২৩:৩০
ব্যাংকক, জাকার্তা রবিবার ২০:৩০ ২২:৩০
নয়া দিল্লী রবিবার ১৯:০০ ২১:০০
ম্যাকাও রবিবার ১৬:৩০ ১৮:৩০
আমস্টারডাম, বার্লিন, প্যারিস, স্টকহোম রবিবার ১৫:৩০ ১৭:৩০
লন্ডন রবিবার ১৪:৩০ ১৬:৩০

অনুষ্ঠানটি বিশ্বের সকল দেশের সকল ধর্মের অনুসারীদের জন্য বিনামূল্যে উন্মোক্ত।

Zoom meeting ID: 853 6014 2090

Meeting password: 459658

অনুষ্ঠানটি দেখতে হলে আপনাকে যা করতে হবে:

প্রথমে আপনার মোবাইলের Play store থেকে Zoom নামক এপসটি ইন্সটল করতে হবে। তারপর Join অপশনে ক্লিক করতে হবে। এর আপনার কাছে দুটি তথ্য চাইব ১# Meeting ID, ২# Meeting Password। উপরে মিটিং কোড আর পাসওয়ার্ড দেওয়া হলো।  যথাযথ স্থানে তথ্য দিয়ে উপরোল্লেখিত সময়ে সাবমিট করলেই আপনাকে অনুষ্ঠানে নিয়ে যাবে।

আরো বিস্তারিত জানতে এখানে মেইল করুন email: info@deerpark.in

ভুটানে জন্মগ্রহণ করা ও ভারতের হিমাচল প্রদেশে বসবাস করা জাজংসার খিয়েন্টসে রিনপোচে সারা বিশ্বে হাজার

Dzongsar Khyentse Rinpoche
Dzongsar Khyentse Rinpoche

হাজার শিক্ষার্থীকে শিক্ষা দিয়ে থাকেন। তাঁর পিতার নাম থিনলে নর্বু রিনপোচে। তিনি নিয়িংমা মাস্টার দিলগো খিয়েন্টসে রিনপোচের (১৯১০-১৯৯১) ঘনিষ্ঠ ছাত্র ছিলেন। তিনি খায়েন্তী বংশের প্রতিষ্ঠাতা এবং জামায়াং খিয়ন্তসে ওয়াংপো (১৮২০ -৯২) এর তৃতীয় অবতার হিসেবে স্বীকৃত। খিয়েন্তে ফাউন্ডেশন ছাড়াও সে বুদ্ধের ৮৪০০০ ধর্মস্কন্ধের অনুবাদ করে বিশ্বের সকলের কাছে বোধগম্য করার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত “Siddhartha’s Intent” এর উদ্দেশ্য হল বুদ্ধের শিক্ষাগুলি সংগ্রহ, সংগঠিত, বিতরণ এবং সংরক্ষণ কর। Lotus Outreach হল শরণার্থীদের সহায়তা করার জন্য বিস্তৃত প্রকল্প। সম্প্রতি লুমোন সোসাইটি নামে আরো একটি সংগঠন সৃষ্টি করে যার কাজ হলো ভুটানের টেকসই উন্নয়নের জন্য শিক্ষা প্রচার করা।

জংগোসার খিয়ন্তসে রিনপোচে বলেন, “আমাদের কাজ হল বুদ্ধের শিক্ষা অনুসরণ করে আমাদের মধ্যে নিহিত সম্ভাব্য বুদ্ধগুণ গুলো পরিপক্ক করা এবং সঠিক পদ্ধতি প্রয়োগ করে আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো।”

শেয়ার করে সবাইকে পড়ার সুযোগ দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!