- বৌদ্ধ বার্তা ডেস্ক
সামরিক বাহিনী ও বিরোধী বাহিনীগুলোর মধ্যে সংঘাত থেকে বাঁচতে পূর্ব মিয়ানমারের দুটি বড় শহর থেকে শত শত বৌদ্ধ ভিক্ষু পালিয়ে গেছেন। সম্প্রতি লড়াই থেকে বাঁচতে এসব ভিক্ষুসহ হাজার হাজার মানুষ পালিয়ে গেছে।
পূর্ব মিয়ানমারের লোইকাও শহরে গত সপ্তাহে তীব্র লড়াই হয়। জাতিসংঘের হিসাবে এতে প্রায় ৯০ হাজার লোক বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। স্থানীয় এনজিওগুলো বলছে এ সংখ্যা আরো অনেক বেশি; এক লাখ ৭০ হাজারের মতো হবে।
জাতিসংঘ বলছে, লোইকাও শহরের অর্ধেক মানুষ সহিংসতার কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
এক বৌদ্ধ ভিক্ষু বলেন, ‘এখানে থাকা আমাদের জন্য অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এলাকা ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য কঠিন ছিল। কিন্তু আমরা তা করতে বাধ্য হয়েছি।’
ভিক্ষুদের এলাকা ছেড়ে পালানো মিয়ানমারের জন্য অস্বাভাবিক। কারণ দেশটিতে তাঁরা সম্মানিত হিসেবে বিবেচিত। আর মন্দিরগুলোকেও নিরাপদ জায়গা হিসেবেই মনে করা হয়।
শান রাজ্যে পালিয়ে যাওয়া পাঁচ হাজার বাস্তুচ্যুতর অন্যতম ওই সন্ন্যাসী জানান, লোইকাও শহর ও আশপাশের ৩০ টি মঠ থেকে ভিক্ষুরা পালিয়ে গেছেন। কাছের দেমোসো শহরেরও ১২টি মঠ খালি হয়ে গেছে। লোইকাওয়ের বিদ্রোহীরা গির্জা, ঘরবাড়ি দখল করে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন একজন পুলিশ সদস্য। তিনি আরো জানিয়েছেন, বিদ্রোহীরা একটি কারাগারেও আক্রমণ করে।
মায়ানমার- এবং থাইল্যান্ড-ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস (এএপিপি) এর রিপোর্ট অনুযায়ী ১৪ জানুয়ারী পর্যন্ত সামরিক জান্তা কর্তৃক ১৪৬৯ জন সাধারণ জনগণ নিহত হয়েছে। সংস্থাটি উল্লেখ করেছে যে এই চিত্রটি শুধুমাত্র AAPP এর স্বাধীনভাবে যাচাই করা ফলাফল প্রকৃত এই সংখ্যা সম্ভবত অনেক বেশি। তাদের মতে মোট ৮৬০৩ জনকে আটক করা হয়েছে, যার মধ্যে ৬০৩ জনকে কারাদণ্ড এবং ৮০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
- সূত্র : এএফপি
আরো পড়ুন>>
- দেড় হাজার কিলোমিটার পথ হেঁটে তীর্থযাত্রা শেষ করলেন বৌদ্ধ ভিক্ষু।
- জাপানি গবেষক বৌদ্ধ তীর্থযাত্রীদের জন্য রোবটিক যান আবিষ্কার করেছেন।
- কলকাতায় খাদ্য সামগ্রী ও শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে সিদ্ধার্থ ইউনাইটেড স্যোসাল ওয়েলফেয়ার কমিশন।
- চর্যাপদের সমাজ ও আজকের সমাজ।
- বড়ুয়া’দের উৎপত্তি ও ইতিহাসঃ
- জৈন ধর্মমত ও বুদ্ধের আপত্তি