উখিয়ায় স্কুল শিক্ষকের ওপর হামলা: নিন্দা ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

নিউজ ডেস্ক || বৌদ্ধবার্তা

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় বড়ুয়া বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের একজন স্কুল শিক্ষক দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, হামলাকারী মনজুর আলম একজন কুখ্যাত ভূমিদস্যু ও ভাড়াটে সন্ত্রাসী, যিনি নিরীহ ও শান্তিপ্রিয় নাগরিকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অবৈধভাবে জমি দখল ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেল ৩:৪৫ মিনিটের দিকে উখিয়ার কোটবাজার-সোনাপাড়া সৈকত সড়কে শিক্ষক রিমন বড়ুয়া মিশুর ওপর এই ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটে। তিনি উখিয়ার রুমখাঁপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

ভুক্তভোগী রিমন বড়ুয়া জানান, জালিয়াপালং ইউনিয়নের পাইন্যাশিয়া এলাকার মনজুর আলমের নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র ব্যক্তি তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। খবর পেয়ে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আরিফ হোসাইন দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তিনি জানান, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আজ ১ মার্চ শনিবার বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ – উখিয়া শাখার নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ রিমন বড়ুয়ার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে যান। তার পরিবার জানিয়েছে, হামলায় গুরুতর আহত রিমন বড়ুয়া বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

উখিয়ায় স্কুল শিক্ষকের ওপর হামলা: নিন্দা ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

এ সময় বাংলাদেশ বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ – উখিয়া এর সভাপতি পলাশ বড়ুয়া, সম্পাদক মধু বড়ুয়া, সহ-সম্পাদক জয় বর্ধন বড়ুয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক দীপন বড়ুয়া, সহ নেতৃবৃন্দ সরেজমিন পরিদর্শন করে স্থানীয় বাসিন্দা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করেন। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সুবধন বড়ুয়া এই বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। একই সঙ্গে তিনি শিক্ষক রিমন বড়ুয়া ও তার পরিবারের সার্বিক নিরাপত্তা এবং জমি-সংক্রান্ত বিষয়েও আলোচনা করেন। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহজাহান চৌধুরীসহ অসংখ্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বৃন্দ উপস্থিত হন।

উল্লেখ্য, শিক্ষক রিমন বড়ুয়া ও তার পরিবার ১৯৯৭ সাল থেকে রুমখাঁপালং হাতীর ঘোনা, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের একটি সরকারি খাস জমিতে বসবাস করে আসছেন বলে পরিবার ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন। অন্যদিকে, অভিযুক্ত মনজুর আলমের বাড়ি জালিয়াপালং ইউনিয়নের পাইন্যাশিয়া এলাকায়, যা রিমন বড়ুয়ার বাড়ি থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

এই হামলার ঘটনায় স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানানো হচ্ছে।

শেয়ার করে সবাইকে পড়ার সুযোগ দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!