আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বৌদ্ধবার্তা
মহাকারুণা দিবস: সমাজসেবী বৌদ্ধ সন্ন্যাসী ভদন্ত ভিক্ষু সংঘসেনা ১২ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লির ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে মহাকারুণা দিবস (মহান করুণা দিবস) ২০২৫ উদযাপনের নেতৃত্ব দেন। এই বার্ষিক অনুষ্ঠানটি বৈশ্বিক শান্তি ও বুদ্ধের করুণার শিক্ষা প্রচারের উদ্দেশ্যে আয়োজিত হয়।
অনুষ্ঠানটি দীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে শুরু হয় এবং এরপরে মহাকারুণা: একটি সামগ্রিক আন্দোলন বৈশ্বিক শান্তির জন্য করুণা মূলক কর্মের মাধ্যমে বইটির উন্মোচন করা হয়, যা ভিক্ষু সংঘসেনা ও ড. প্রিয়া রঞ্জন ত্রিবেদীর যৌথ রচনা। মূল বক্তব্যে, ভিক্ষু সংঘসেনা শাসনব্যবস্থা, বিজ্ঞান ও শিক্ষায় করুণার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং প্রযুক্তির অপব্যবহার সম্পর্কে সতর্ক করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের মধ্যে করুণার বোধ জাগ্রত করতে মহাকারুণা বিষয়ক পাঠ্যবই প্রবর্তনের প্রস্তাব দেন।

এই অনুষ্ঠানটি মহাবোধি আন্তর্জাতিক ধ্যান কেন্দ্র (MIMC), মহাকারুণা ফাউন্ডেশন এবং অন্যান্য শান্তি সংস্থার সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়। বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ড. কিরণ বেদী, ড. সন্দীপ মারওয়া, ও ড. মার্কণ্ডেয় রাই। বক্তারা বিশ্বব্যাপী সংঘাতের প্রেক্ষাপটে করুণা-নির্ভর নেতৃত্বের জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ড. বেদী ভিক্ষু সংঘসেনার মানবিক কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন এবং তাকে ভারতের সংসদের উচ্চকক্ষে মনোনীত করার প্রস্তাব দেন। অনুষ্ঠানটি মহাকারুণা শিক্ষার সঙ্গে একীভূতকরণ, মহাকারুণা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং নেতৃত্বে আধ্যাত্মিকতা সংযোজনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে শেষ হয়।
ভিক্ষু সংঘসেনা, যিনি MIMC ও একাধিক মানবিক উদ্যোগের প্রতিষ্ঠাতা, শান্তি, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং আন্তঃধর্মীয় সংলাপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। তার প্রচেষ্টা শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও নারীর ক্ষমতায়নের মতো সমাজসেবামূলক কাজে বিস্তৃত, বিশেষত সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়ের জন্য।
এক নববর্ষ বার্তায়, তিনি বিশ্ব ঐক্য ও করুণার আহ্বান জানান, যেখানে অহিংসা, ন্যায়বিচার ও নিরাময়ের উপর জোর দেওয়া হয়। করুণা মূলক কর্মের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনের লক্ষ্যে তার প্রচেষ্টা বৌদ্ধ মানবসেবার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে।