প্রবারণা: দেশের চলমান পরিস্তিতে উখিয়া সংঘরাজ ভিক্ষু সমিতি এবারের প্রবারণা পূর্ণিমায় ফানুস উড়াবে নাকি উড়াবে না এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত ২ আক্টোবর জেলা প্রশাসকের আহব্বানে কক্সবাজার জেলা সম্মেলন কক্ষে প্রতি উপজেলা হতে বড়ুয়া, মারমা, চাকমা সহ সকল বৌদ্ধ প্রতিনিধি এবং জেলা বিএনপি সভাপতি, জেলা জামায়াতের আমির বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য, রামু জাহাজ ভাসা উদযাপন কমিটি সাংবাদিক সহ বিভিন্ন সচেতন ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আসন্ন প্রবারনা পূর্নিমাও কঠিন চীবর দানে বিষয়ে প্রস্তুতিমুলক সভা অনুষ্টিত হয়। উক্ত সভায় উখিয়া উপজেলার ভিক্ষু সমিতি ও বিহার কর্তৃপক্ষের সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে ফানুশ না উড়ানোর সিদ্ধান্তকে বর্তমান সময়ের সর্বোত মিসিউরিটি সিদ্ধান্ত বলে সকলে প্রশংসা করেন।
জেলা প্রশাসক,বিজিবি জেলা প্রধান, পুলিশ সুপার, জেলা বিএনপির সভাপতি, জেলা জামায়াতের সভাপতি, সহ অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রশংসা করেন।
এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ উখিয়া সংঘরাজ ভিক্ষু সমিতির অফিসিয়াল ফেইজবুক পেইজে সমিতির আওতাধীন সকল বিহার পরিচালনা কমিটির প্রতি অনুরোধ জানিয়ে একটি বার্তা দেওয়া হয়। বার্তায় জরুরী বিজ্ঞপ্তি শিরোনাম দিয়ে বলা হয়েছে-
”উখিয়া সংঘরাজ ভিক্ষু সমিতির আওতাধীন সকল বিহার সমুহকে জানানো যাচ্ছে যে,এই বছর আসন্ন প্রবারণা পূণির্মাতে “ফানুশ“ (আকাশ প্রদীপ) না উড়ানোর জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে আতশ বাজি/ হাজার প্রদীপ জালানো যেতে যেতে পারে। পাহাড়ে বর্তমানে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিদ্যমান। এবস্থায় নিরাপত্তা কথা চিন্তা করে উখিয়ার সচেতন ব্যক্তিবর্গ ও ভিক্ষু সংঘের অনুরোধে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। নিজ নিজ অবস্থান থেকে সর্তক থাকুন।”
উল্লেখ্য, প্রবারণা পূর্ণিমা হলো বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। একে আশ্বিনী পূর্ণিমাও বলা হয়। এই দিনটিতে বৌদ্ধ ভিক্ষুগণ তাদের গত তিন মাসের বর্ষাব্রতের সমাপ্তি ঘোষণা করেন এবং নিজেদের মধ্যে দোষ-ত্রুটি স্বীকার করে ক্ষমা চান। প্রবারণা পূর্ণিমার অন্য একটি উৎসবময় দিক হলো ফানুস উত্তোলন। প্রবারণা পূর্ণিমার পরপরই শুরু হয় বৌদ্ধদের আরেক পূণ্যানুষ্টান কঠিন চীবর দান।