কঠিন চীবর দান না করার সিদ্ধান্ত পার্বত্য ভিক্ষু সংঘের

কঠিন চীবর দান: নিরাপত্তাজনিত কারণে তিন পার্বত্য জেলায় কঠিন চীবরদান উদযাপন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বৌদ্ধ ধর্মের গুরুরা। রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুরে রাঙ্গামাটি বনরূপা মৈত্রী বিহারে ১৫টি বৌদ্ধ ভিক্ষু সংঘের প্রতিনিধিরা সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পার্বত্য ভিক্ষু সংঘের সভাপতি ভদন্ত শ্রদ্ধালংকার মহাথের।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বনভান্তে শিষ্য সংঘ বাংলাদেশের সহ-সভাপতি ভদন্ত সৌরজগৎ মহাথের, পার্বত্য ভিক্ষু পরিষদ বান্দরবানের ভদন্ত তেজপ্রিয় মহাথের, রাজ নিকার মার্গ চিৎমরম কাপ্তাইয়ের সহসভাপতি জ্ঞানবংশ মহাথের, ত্রিরত্ন ভিক্ষু অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের ভদন্ত আপ্রাশ্রী মহাথের, খাগড়াছড়ি শাসনা রক্ষিতা ভিক্ষু সংঘের সভাপতি ভদন্ত সুমনা মহাথেরসহ অন্যান্য ভিক্ষু সংঘের ভিক্ষু প্রতিনিধিরা।

পার্বত্য ভিক্ষু সংঘের সভাপতি ভদন্ত শ্রদ্ধালংকার মহাথের লিখিত বক্তব্যে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিদ্যমান পরিস্থিতি ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে এ বছর পার্বত্য চট্টগ্রাম (রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কঠিন চীবর দান উদযাপন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গত ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০ সেপ্টেম্বর ও ১লা অক্টোবর খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় শতাধিক দোকানপাট ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগসহ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। এসময় বিভিন্ন বিহারে বুদ্ধমুর্তি ভাঙচুর ও দানবাক্স লুট করা হয়েছে। তাই বৌদ্ধ সমাজ ও ভিক্ষুসংঘ উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত। এমতবস্থায় নিরাপত্তাহীনতা ও অনিশ্চয়তার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের সব বিহারে কঠিন চীবর দান না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শেয়ার করে সবাইকে পড়ার সুযোগ দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!