এশিয়ার বৃহত্তম ব্রোঞ্জ নির্মিত বুদ্ধ মূর্তি

এশিয়ার বৃহত্তম ভিয়েতনামের মহান বুদ্ধ মূর্তি

এশিয়ার বৌদ্ধ প্রতিম দেশ ভিয়েতনাম। ভিয়েতনামের জনসংখ্যার ৭০ শতাংশেরও বেশি মানুষ বৌদ্ধ। দেশটিতে আছে দৃষ্টিনন্দন অনেক বৌদ্ধ স্থাপনা। ভিয়েতনামের অনেকগুলো বৌদ্ধ স্থাপনার মধ্যে এই কলামে পরিচয় করিয়ে দেবো এশিয়ার বৃহত্তম ব্রোঞ্জ বুদ্ধ মূর্তির সাথে।

ফানসিপান পাহাড়ের চূড়ায় স্থাপিত অমিতাভ বুদ্ধমূর্তিটি ভিয়েতনামে স্থাপিত বুদ্ধ মূর্তিগুলোর মধ্যে উপবিষ্ট সর্বোচ্চ ব্রোঞ্জ বুদ্ধ মূর্তি। এটি সমুদ্র পিষ্ট থেকে প্রায় ৩০০০ মিটারেরও বেশি উচ্চতায় পাহাড়ের চূড়ায় স্থাপিত।

এশিয়ার বৃহত্তম এই ব্রোঞ্জ বুদ্ধ মূর্তিটি উচ্চতায় ২১.৫ মিটার। উন্নত প্রযুক্তি সহায়তায় প্রায় ৫০ টন তামা দিয়ে ঢালাই করে তৈরী মূর্তিটি। তিন তলা বিশিষ্ট স্থাপনার উপরের তলায় তামার গ্রেট বুদ্ধ মূর্তিটি বসে আছে একটি পদ্মাসনে। পদ্মাসনটির উচ্চতা 8 মিটার। দ্বিতীয় তলা হল বক্তৃতা ও দেশনা দেওয়ার হল রোম এবং নিচতলায় দর্শনার্থীদের খাবার খাওয়ানোর সুযোগ রাখা হয়েছে।

এশিয়ার বৃহত্তম ব্রোঞ্জ নির্মিত বুদ্ধ মূর্তি

এই বিশাল অমিতাভ বুদ্ধ মূর্তিটি সা-পা শহরের কাছে সমুদ্র পিষ্ট থেকে ৩০৭৫ মিটার উচ্চতায় ফানসিপান পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত। সবচেয়ে বৃহত্তম ব্রোঞ্জ নির্মিত মূর্তিগুলোর মধ্যে এটি বিশ্ব রেকর্ড করেছে। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে এটি এশিয়ার সর্বোচ্চ উচ্চতায় অবস্থিত তামার মূর্তি হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে।  

২০১৫ সালে নির্মিত ব্রোঞ্জের মূর্তিটি পদ্মাসন থেকে ২১.৫ মিটার লম্বা। হাজার হাজার ব্রোঞ্জের টুকরো দিয়ে পাঁচ মিলিমিটার পুরু করে তৈরী অমিতাভ বুদ্ধ মূর্তি। এর পাদদেশটি ড্রাগন এবং পদ্ম ফুল দিয়ে সজ্জিত। ৩০ জানুয়ারী, ২০১৮ সালে এই মহান মূর্তিটি উদ্বোধন করা হয়।

মূর্তিটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩,০৭৫ মিটার উচ্চতায় মাউন্ট ফ্যানসিপানে অবস্থিত, যাকে “ইন্দোচীনের ছাদ” বলা হয়। এটি ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয় থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার (১৮৬ মাইল) দূরে লাও কাই প্রদেশে বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র সা পা থেকে ৯ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ফ্যান্সিপান পর্বতের চূড়ায় অবস্থিত।

এখানে বর্তমানে ক্যাবল কার সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে যার সাহায্যে সহজে ফানসিপান পর্বতে আরোহন করা যায়। ফ্যান্সিপান ক্যাবল কার সিস্টেমটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩,১৪৩ মিটার উপরে, মুওং হোয়া উপত্যকা থেকে শুরু করে ফানসিপান পর্বতের শিখরে পৌঁছেছে।

ক্যাবল কারটি প্রতি ঘন্টায় ২০০০ যাত্রীর পরিবহন ক্ষমতা রয়েছে যার প্রতিটি কেবিনে ৩০-৩৫ জন যাত্রী বহন করতে সক্ষম। পায়ে হেটে ফ্যানসিপানের চূড়ায় পৌঁছাতে দুই দিনের বেশি সময় লাগলেও বর্তমানে ক্যাবল কারের কারনে মাত্র ১৫ মিনিটে এর চূড়ায় উঠতে পারছে দর্শনার্থীরা।

এমন মনোরম স্থানে মূর্তিটি স্থাপন করার ফলে পূন্যার্থীরা যখন ফানসিপানে ভ্রমন করে তখন স্বর্গ ও পৃথিবীর মধ্যে যুগসূত্র খুজে পান। স্থানটি বছরের অধিকাংশ সময় মেঘে ঢাকা থাকে যা এক স্বর্গীয় অনুভূতি দেয়।

আরো পড়ুন>>

শেয়ার করে সবাইকে পড়ার সুযোগ দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!