রোজাদারদের ইফতার বিতরণ: ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার বিপরীতে দাঁড়িয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নজির রাখছে রাজধানীর বাসাবো ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহার। গত ১০ বছর ধরে এই বিহারে রমজান মাস এলেই রোজাদারদের জন্য ইফতার বিতরণ করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ২৪ মার্চ (শুক্রবার) প্রথম রমজানে বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ’র উদ্যোগে এই বছরও ইফতার বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়।
মাগরিবের আজানের ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই বৌদ্ধ মহাবিহারে লাইনে দাঁড়িয়ে ইফতারের প্যাকেট গ্রহণ করেন রোজদাররা।
বৌদ্ধ মহাবিহারের এমন অসাম্প্রদায়িক চেতনায় খুশি এলাকার স্থানীয় লোকজন। বিতরণ কাজে দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সাংগঠনিক সম্পাদক, ধর্মরাজিক উচ্চ বিদ্যালয়’র প্রধান শিক্ষক অনুপম বড়ুয়া বলেন, ”এ দেশের প্রতিটি ধর্মের দায়িত্বশীল মানুষগুলো যদি এমন আচরণ করতেন, তাহলে আমাদের দেশটা সত্যিই সুন্দর হতো।”

রমজান মাসজুড়ে চলবে এ কার্যক্রম। বৌদ্ধ মহাবিহার কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রথম ২ বছর প্রতিদিন ৫০০ প্যাকেট ইফতারি দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। এ বছর প্রতিদিন ১৫০ জনকে ইফতারি দেওয়া হচ্ছে। এটা পর্যায়ক্রমে আরো বাড়বে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার প্রথম রোজায় ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের মূল ফটকের বাইরে লোকজনের ভিড় বাড়তে দেখা গেছে। ফটকের ভেতরে অতীশ হলের সামনে ইফতারি বিতরণের বড়সড় একটা টেবিলের ওপর ইফতারির প্যাকেট সাজানো।
সামনে ইফতারি নিতে আসা মানুষের দীঘল সারি। একজন করে আসছেন, কর্তৃপক্ষের হাত থেকে ইফতারির প্যাকেট নিচ্ছেন। ঢাকায় সবুজবাগের অতীশ দীপঙ্কর সড়কের ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
পুরো রমজান মাসজুড়ে চলবে এ কার্যক্রম। আশপাশের এলাকার অসহায়, দুস্থ রোজাদারদের মধ্যে প্রতিদিন এভাবে ইফতার বিতরণ করবে বিহার কর্তৃপক্ষ।
আরো পড়ুন>>
- বেলজিয়ামে বৌদ্ধধর্মকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দান
- ৩৬ হাজার পরিবারকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে বৌদ্ধ সংগঠন
- থাইল্যান্ডে উন্মুক্ত হলো ৭০০ বছরের পুরনো বুদ্ধ স্তূপ
- কক্সবাজার জেলা বৌদ্ধ সুরক্ষা পরিষদ প্রতিষ্ঠার পঞ্চম বর্ষপূর্তি উদযাপন
- বুদ্ধের দর্শনে মানবতা
- মানুষ মারা যাওয়ার পর বাড়িতে অস্তিত্ব পাওয়ার কারণ কী?