প্রয়াত পন্ডিত জ্যোতি:পাল মহাথের’র ২১তম প্রয়াণ দিবস পালিত

প্রয়াত পন্ডিত জ্যোতি:পাল মহাথেরো’র ২১তম প্রায়ণ দিবসঃ মুক্তিযুদ্ধের আন্তর্জাতিক সংগঠক, দশম সংঘরাজ প্রয়াত পন্ডিত জ্যোতি:পাল মহাথের’র ২১তম প্রয়াণ দিবস পালিত হয়েছে।

শুক্রবার (৭ এপ্রিল) এ উপলক্ষে অষ্টপরিষ্কার সহ সংঘদান ,স্মরণ সভা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়স্থ বিশ্বশান্তি প্যাগোডায় অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার উপসংঘরাজ স্মৃতিধর  ড. শীলানন্দ মহাথের’র। প্রধান জ্ঞাতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা আলীশ্বর শান্তি নিকেতন বিহারের অধ্যক্ষ  ভদন্ত জিনসেন মহাথের, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংঘরাজ ভিক্ষু মহামন্ডলের সভাপতি ভদন্ত জিনালংকার  মহাথের।

প্রয়াত পন্ডিত জ্যোতি:পাল

উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন  ভদন্ত প্রিয়ানন্দ মহাথের, ভদন্ত বিনয়পাল মহাথের, ভদন্ত শাসনানন্দ মহাথের, ভদন্ত জিনানন্দ মহাথের, ভদন্ত প্রজ্ঞাজ্যোতি মহাথের, ভদন্ত প্রজ্ঞাপাল মহাথের,  ভদন্ত সুগতপ্রিয় মহাথের, ভদন্ত দীপানন্দ মহাথের, ভদন্ত রতনপ্রিয় মহাথের, ড দেবপ্রিয় মহাথের, ভদন্ত বুদ্ধপ্রিয় মহাথের, ভদন্ত শাসনশ্রী মহাথের, ভদন্ত বোধিমিত্র মহাথের, ভদন্ত প্রিয়ানন্দ মহাথের, ড. বুদ্ধপাল মহাথের, ভদন্ত বিপুলবংশ থের, ভদন্ত জ্যোতিশ্রী থের, ভদন্ত বিজয়ানন্দ থের, ভদন্ত রাষ্ট্রপাল থের, ভদন্ত লোকাবংশ থের।

উদ্বোধক ছিলেন অধ্যাপক ড. জ্ঞানরত্ন মহাথের। মুখ্য আলোচক ছিলেন গহিরা শান্তিময় বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত মৈত্রীপ্রিয় মহাথের। প্রধান ধর্মদেশক ছিলেন  বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার মহাসচিব ড. সংঘপ্রিয় মহাথের।

বিশেষ সদ্ধর্মদেশক ছিলেন সংঘরাজ ভিক্ষু মহামন্ডলের মহাসচিব ভদন্ত বিপুলসেন মহাথের, গহিরা জেতবনারাম বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত সত্যপাল মহাথের।

ভদন্ত সংঘমিত্র ভিক্ষু ও শ্যামল কান্তি বড়ুয়ার সঞ্চালনায় মঙ্গলাচরণ  করেন জোবরা সুগত বিহারের উপাধ্যক্ষ ভদন্ত নিরোধানন্দ ভিক্ষু, পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন প্রশান্ত বড়ুয়া। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ প্রশান্ত কুমার বড়ুয়া।

সংক্ষেপে প্রয়াত জ্যোতিপাল মহাথের’র জীবনী

প্রয়াত সংঘরাজ জ্যোতিঃপাল মহাথের ১৯১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি কুমিল্লা জেলার, লাকসাম উপজেলার কেমতলী নামক গ্রামে এক বৌদ্ধ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম চন্দ্রমনি সিংহ,মাতার নাম দ্রৌপদী বালা সিংহ। তিনি পিতা-মাতার কনিষ্ঠতম সন্তান। তিনি বাংলাদশের বৌদ্ধদের ১০তম ধর্মীয় গুরু। তিনি ২০০২ সালের ১২ই এপ্রিল ৯২ বছর বয়সে মারা যান। তাকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি ২০১০ সালে একুশে পদক, ২০১১ সালে স্বাধীনতা পদক(মরনোত্তর) পান। তিনি ২০০২ সালের ১২ই এপ্রিল ৯২ বছর বয়সে মারা যান।

প্রায়ত জ্যোতি:পাল মহাথের

দীক্ষা লাভ

তিনি ১৫ বছর বয়সে ১৯৩৩ সালে শ্রামণ্য ধর্মে দীক্ষা গ্রহণ করেন। ১৯৩৮ সালে তিনি উপসম্পদা গ্রহণ করেন, অর্থাৎ ভিক্ষু হন। তিনি পাহাড়তলি মহামুনি পালি কলেজ, কলকাতা ও নালন্দা বিদ্যাভবনে পালি ভাষা,সাহিত্য ইত্যাদি বিষয়ে প্রগাঢ় পান্ডিত্য অর্জন করেন। তিনি বাংলা,হিন্দি,পালি,ইংরেজি,সংস্কৃত ভাষায় দক্ষ ছিলেন।

সমাজসেবা

তিনি বহু জনহিতকর প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, যেমন: ১৯৯১ সালে বালক উচ্চ বিদ্যালয়, ১৯৮২ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শান্তি প্যগোডা, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (বর্তমানে কলেজ),অনাথ আশ্রম ইত্যাদি।

স্বীকৃতি ও পুরস্কার

তাকে ১৯৯৫ সালে প্রয়াত জ্যোতি:পাল মহাথেরোকে জাতিসংঘ বিশ্ব নাগরিক উপাধি দেয়। তিনি নালন্দা বিদ্যাভবন থেকে এিপিটক বিশারদ উপাধি পান। তিনি বাংলাদেশি বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু ‘সংঘরাজ’ ছিলেন। তিনি বাংলাদশের বৌদ্ধদের ১০তম ধর্মীয় গুরু। তিনি ২০১০ সালে একুশে পদক, ২০১১ সালে স্বাধীনতা পদক (মরনোত্তর) পান। তিনি মায়ানমার সরকার কর্তৃক ‘ অগ্গমহাদ্ধর্মজোতি কাধ্বজ’ উপাধিতে ভূষিত হন। তার নামে তার মন্দিরের নামকরণ করা হয়েছে ‘সংঘরাজ জ্যোতি:পাল মহাথের বৌদ্ধ মহাবিহার কমপ্লেক্স। (উইকিপডিয়া)

আরো পড়ুন>>

শেয়ার করে সবাইকে পড়ার সুযোগ দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!