টেকনাফ লম্বাঘোনা চাকমাপাড়ায় এক চাকমা কিশোরীর সম্ভ্রমহানীর খবর পাওয়া গেছে। লম্বাঘোনার কেতাইনছিং তঞ্চঁগ্যার কিশোরী মেয়েকে রাস্তায় একা পেয়ে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার কথা বলে জোর করে সিএনজিতে তোলে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে। ভিকটিমের বাবা মা ও এলাকাবাসীর সাক্ষ্যমতে পার্শ্ববর্তী লাতুরিখোলা এলাকার বাসিন্দা শহীদুল্লাহ প্রকাশ বাশি এই ঘটনার জন্মদাতা। জানা গেছে এসময় সিএনজিতে চালক সহ তারা ২/৩ জন ছিলেন।
মেয়েটির ভাষ্যমতে, পুরো পথ ধরেই তারা মেয়েটির সাথে চরম অসভ্যতা করেন। একপর্যায়ে সিএনজি যখন লম্বাঘোনা নিজ গ্রামে ঢুকে তখন মেয়েটির শোর চিৎকার করা শুরু করে। চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন ছুটে গেলে দুর্বৃত্তরা মেয়েটিকে দ্রুত নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান।
এদিকে এই ঘটনার পর মেয়েটির বাবা কেতাইনছিং তঞ্চঁগ্যা উনার এলাকার স্থানীয় মেম্বার এবং সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি সহ অনেকের কাছে বিচার চেয়ে অভিযোগ করেন। দুঃখজনক হল, দিনের পর দিন তাদের কাছে ধর্না দিলেও তারা কেউ এই বিষয়ে গুরুত্ব দেননি। আবার কৌশলে আজ-কাল বলে বলে ঝুলিয়ে রেখে ভিকটিম পরিবারকে প্রশাসনের কাছেও যেতে দেননি।
এরিমধ্যে অভিযুক্ত শহীদুল্লাহ প্রকাশ বাশি লম্বাঘোনা এলাকায় ঢুকে প্রকাশ্যে আড্ডা দেয়া শুরু করেন। অনেকটা গাদ্দারি করার মতো ব্যাপার। এলাকায় পেয়ে ঘটনার দিন রাতে তাকে এলাকার কিছু যুবক মিলে আটকায়। এই খবর পেয়ে বাশি’র পক্ষের কয়েকজন লোক এসে শীঘ্র বৈঠকে বসার কথা বলে তাকে নিয়ে যান। কিন্তু ঘন্টাখানেকের মধ্যে আবার শতাধিক লোকজন নিয়ে তারা মিছিল আকারে চাকমাপাড়ায় ঢুকে ঘরবাড়ি, দোকান, ভাংচুর করা শুরু করেন। রাস্তার পাশের একটি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেন। এসময় তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। সামনে যাকে পাচ্ছেন তাকেই গণপিটুনি দিচ্ছেন। প্রত্যক্ষদর্শী অনেকের মতে, হামলাকারীরা ছিলেন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত। এমনকি তারা ৩/৪ টি ফাঁকা গুলিও বর্ষণ করেন।
উল্লেখ্য, টেকনাফ উপজেলার লম্বাঘোনা চাকমা পল্লীতে গত ১৪ ডিসেম্বর রাতে সংঘবদ্ধ সহিংস হামলার ঘটনা ঘটায় দুর্বৃত্তরা।