অতীশ দীপঙ্কর, বিশুদ্ধানন্দ ও শুদ্ধানন্দ শান্তি স্বর্ণপদক প্রদান সম্পন্ন: শিক্ষা, ধর্ম, দর্শন, সর্বজনীন কল্যাণে বিশেষ অবদানের জন্য ‘অতীশ দীপঙ্কর, বিশুদ্ধানন্দ, শুদ্ধানন্দ শান্তি স্বর্ণপদক‘ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) রাজধানীর সবুজবাগের ধর্মরাজিক মহাবিহার অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ এর পৃষ্টপোষকতায় এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
এবছর ‘অতীশ দীপঙ্কর শান্তি স্বর্ণপদক‘ পেয়েছেন ভারতের ডঃ ধম্মপিয় মহাথেরো, ‘বিশুদ্ধানন্দ শান্তি স্বর্ণপদকে ভূষিত হয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ডাঃ মৃদুল কান্তি বড়ুয়া, শুদ্ধানন্দ শান্তি স্বর্ণ পদক পান সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরী।
সমাজ ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০০১ সাল থেকে সংগঠনটি এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। পুরষ্কার হিসেবে প্রত্যেককে একটি করে কাশ্মিরী শাল উত্তরীয়, এক ভরি ওজনের গোল্ড এর পদক ও প্রশংসাপত্র দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের উর্ধতন সহ-সভাপতি পি. আর. বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন এলজিআরডি মন্ত্রী জনাব মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এম. পি., বিশেষ অতিথি ছিলেন ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েন্সিল।
অধ্যাপক ডঃ সুমন কান্তি বড়ুয়া সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে, রাজগুরু অভয়ানন্দ মহাথেরো, ভদন্ত স্বরুপানন্দ ভিক্ষু, অধ্যাপক ডঃ বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া, কাউন্সিলর চিত্ত রঞ্জন দাস, রনজিত কুমার বড়ুয়া, অধ্যাপক ডাঃ উত্তম কুমার বড়ুয়া, লায়ন মৃদুল কান্তি চৌধুরী, নেত্রসেন বড়ুয়া, দেবপ্রিয় বড়ুয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
উক্ত সভায় ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াকে পরপর দু’বার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় তাঁকে সম্বর্ধনা প্রদান করা হয়। পূর্বাহ্নে ললিতকলা একাডেমির শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশিত হয়।
বক্তব্যকালে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে কোন ধর্মীয় বৈষম্য থাকার সুযোগ নেই। সরকার সকল ধর্মের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।
এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী চট্টগ্রামের কাতালগঞ্জের নবপণ্ডিত বিহারের উন্নয়নে দুই কোটি টাকা অনুদানের ঘোষণা দেন।