রামুতে ১০১ জনকে প্রব্রজ্যা: প্রতিবছরের ন্যায় এই বছরও কক্সবাজারের রামুতে ১০১ জনকে গণপ্রব্রজ্যা দিতে যাচ্ছে ঐতিহাসিক রামু রাংকুট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহার। আগামী ৩/৫/২০২৩ইং, রামুর ঐতিহাসিক রাংকুট বনাশ্রম তীর্থস্থানে মহান বুদ্ধ পূর্ণিমা ও ৮৪ হাজার ধর্মস্কন্ধ পূজা উপলক্ষে সকল শ্রেণিপেশার ৭-৭০ বছর বয়সী ১০১ কুলপুত্রকে এক সপ্তাহের জন্য গণপ্রব্রজ্যা প্রদান করা হবে জানা গেছে।
প্রব্রজ্যা গ্রহণ করার ইচ্ছুক ব্যক্তিগণকে আগে থেকে যোগাযোগ করে রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য অনুরোধ করেছে আয়োজক কমিটি। আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে রাংকুট বনাশ্রম তীর্থস্থানের অফিশিয়াল ফেইজবুক পেইজে জানানো হয়েছে, আগে আসলে আগে ভিত্তিতে ১০১ জনের কোটা পুরণ করা হবে। যে সকল ব্যাক্তি রাংকুট বনাশ্রম তীর্থস্থানে প্রব্রজ্যা গ্রহণে ইচ্ছুক তাদেকে রেজিষ্ট্রেশন ফরম সংগ্রহ করে যথাযথ পূরণ করত জমা দেত বলা হয়েছে।
রেজিষ্ট্রেশন ফরম পেতে এখানে ক্লিক করুন–
রেজিট্রেশন ফর্ম কিংবা প্রব্রজ্যা বিষয়াদি ব্যাপারে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের মোবাইল নাম্বার গুলোতে যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়েছে। যোগাযোগঃ 01640-655875, 01612145610 এবং 01876202349।
উল্লেখ্য, গত বছর বৈশাখী পূর্ণিমায় ১৫০ জন কুলপুত্রকে প্রব্রজ্যা প্রদান করা হয়েছিল। সর্ব নিম্ন ৭ দিন থেকে বিভিন্ন মেয়াদে প্রব্রজ্যা ধর্ম পালন করার সুযোগ পেয়েছিল গত বছর।

রাংকুট এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
খ্রিষ্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতকে প্রাচীন আরাকানের ধন্যবতী (ধাঁঈয়াওয়াদি) নগরের রাজা মহাচন্দ্র সুরিয়ার আমন্ত্রণে গৌতম বুদ্ধ তার শিষ্যদের নিয়ে তৎকালীন সমতটের চৈতগ্রামের (বর্তমান চট্টগ্রাম) উপর দিয়ে ধন্যবতী নগরে যাওয়ার পথে এই স্থানে এসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম করেছিলেন। তখন তার প্রধান সেবক আনন্দ স্থবিরকে উদ্দেশ্য করে ভবিষ্যত বাণী করে বলেন, “হে আনন্দ! পশ্চিম সমুদ্রের পূর্ব তীরে রম্যবতি (রম্মাওয়াদি) নগরের পর্বত শীর্ষে আমার বক্ষাস্থি স্থাপিত হবে, তখন এর নাম হবে রাং (বুদ্ধের বুকের অস্থি) কূট (স্থান)।
সম্রাট অশোক বুদ্ধের ৪৫ বছর ব্যাপী ৮৪ হাজার ধর্মবানীকে বুদ্ধ জ্ঞানের প্রতীকরূপে বুদ্ধের অস্থি সংযোজিত ৮৪ হাজার চৈত্য স্থাপন করেছিলেন। যার মধ্যে অন্যতম রামুর এ চৈত্যটি। পরবর্তিতে খ্রিস্টপূর্ব ৩০৮ অব্দে আরাকান রাজা চন্দ্রজ্যোতি (চেঁদি রাজা) কর্তৃক বুদ্ধের উক্ত বক্ষাস্থি সাদা পাথরের ৬ ফিট উঁচু বুদ্ধবিম্বের মাথায় সংযোজিত করে বুদ্ধবিম্বটি স্থাপন করেন। সময়ের বিবর্তনে রাংকূটের অস্তিত্ব বিলীন হল হয়ে যায়। ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে শ্রীলংকান পুরোহিত জগৎ জ্যোতি মহাস্থবির রামকোট বৌদ্ধ বিহারটি সংস্কার পূর্বক পুনঃ প্রতিষ্ঠা করেন। (উইকিপডিয়া)
আরো পড়ুন>>
- কক্সবাজারে বৌদ্ধ বিহারের পথ দখল করে হচ্ছে স্কুল ভবন
- বুদ্ধমূর্তি স্থাপন নিয়ে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা
- সৌজন্য স্বাক্ষাতে হোয়ারা পাড়া বৌদ্ধ কল্যান সমিতি
- রোজাদারদের ইফতার বিতরণ করেছে বৌদ্ধরা
- বৌদ্ধধর্মকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিল বেলজিয়াম
- বুদ্ধ দর্শনে মানবতা
- জীব মাত্রই কর্মের অধীন