চলছে বৌদ্ধ পুরাকীর্তি পণ্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয়ের খনন কাজ। খননকাজের ফলে হাজার বছরের পুরাকীর্তির নিদর্শন ফুটে উঠছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান এলাকায়। শত বছরের পুরোনো পণ্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও পুরাকীর্তির নিদর্শনের অনুসন্ধানের খোঁজ মিলেছে। খনন খাজ্যের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব মন্ত্রণালয় পুরাকীর্তি অনুসন্ধানের কাজ শুরু করেছে, চলছে খননকাজ।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে আঞ্চলিক পরিচালক এ কে এম সাইফুল রহমানের তত্ত্বাবধানে খনন কাজের কার্যক্রম শুরু করে সম্প্রতি। বগুড়া থেকে আনা দশজন অনুসন্ধানী লোক খনন কাজে অংশ নেন। যারা এ খনন কাজ নেন, তারা হলেন- মো: হাফিজ আকণ্ড, মো:ঠান্ডু সরকার, মো: হান্নান সরকার, মো: আজিজুল হক আকন্দ, মো: মোতালেব সরকার, মো: আবু বক্কর সিদ্দিক, মোহাম্মদ চুন্নু, মো: আব্দুল গফুর, মো: পারভেজ সরকার, মো: ফয়লাল সরকার।
গত ২৭ সেপ্টম্বর খনন কাজ পরিদর্শনে একটি প্রতিনিধি দল। এ পরিদর্শন দলে ছিলেন প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বৌদ্ধ পণ্ডিত, বুদ্ধিজীবী, লেখক, গবেষক ও প্রবন্ধকার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. জিনবোধি মহাথেরো।

এসময় সাথে ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক মোস্তফা কামাল যাত্রা, আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ উন্নয়ন সংস্থা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট সংগঠক জে বি এস আনন্দবোধি থেরো, সাংবাদিক রতন বড়ুয়া, চন্দন কুমার বড়ুয়া, সুজয় বড়ুয়া, সাংবাদিক এম ডি এইস রাজু, সাংবাদিক আশিক আরেফিন, আকাশ ইকবাল প্রমুখ।
পরিদর্শন দল পুরাকীর্তি অনুসন্ধানের খনন কাজের পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধি দল আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরীর সাথে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে এক সৌজন্যে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়ে মিলিত হন। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী বলেন, পন্ডিত বিহারের পুরাকীর্তি অনুসন্ধানের কাজ সম্পন্ন হলে পুরো আনোয়ারা উপজেলা তথা চট্টগ্রাম জেলা ইতিহাস ও পুরাকীর্তিতে সমৃদ্ধ হবে।
আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন তিনি। এসময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরীকে লিখিত গ্রন্হ উপহার দেন অধ্যাপক ড. জিনবোধি ভিক্ষু।