ভারতের লাদাখে ৪৬ ফুট উঁচু বুদ্ধমূর্তি উৎসর্গ সম্পন্ন

ভারতের লাদাখে ১৪ মিটার বা ৪৬ ফুট উঁচু উপবেশনরত বুদ্ধ মূর্তি উৎসর্গ করা হয়েছে। গত ১ আগস্ট  লাদাখের মহাবোধি আন্তর্জাতিক ভাবনা কেন্দ্রে শাক্যমুনি বুদ্ধের এই মূর্তি উৎসর্গ করা হয়। জানা গেছে এই বিশাল বুদ্ধ মূর্তি উৎসর্গ অনুষ্ঠানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত ৫০০ এরও বেশি পণ্ডিত বৌদ্ধ ভিক্ষু উপস্থিত ছিলেন।

মহাবোধি আন্তর্জাতিক ভাবনা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং সভাপতি শ্রদ্ধেয় ভিক্ষু সংঘসেনা এই শুভ অনুষ্ঠানের উদ্দ্যেশ্যে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে ছিলেন। তিনি বলেন, ”নতুন পবিত্র মূর্তিটি বিশ্ব শান্তির জন্য উৎসর্গ করা হয়েছে, এটি বর্তমান ও ভবিষ্যতের বহু প্রজন্মকে বুদ্ধধর্মের পথ অনুসরণ করতে অনুপ্রাণিত করবে।” তিনি আরো বলেন, ”বর্তমান বিশ্ব এমন একটি পর্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে যেখানে সর্বত্র সংঘাত চলছে, এই ধরনের পরিস্থিতিতে, ভগবান বুদ্ধের শিক্ষা এবং দর্শনই কেবল শান্তির পথ দেখাতে পারে।” কেবল ভারতের নয় বরং সারা বিশ্বের জন্য বুদ্ধের শিক্ষার প্রয়োজন আছে।

শ্রদ্ধেয় ভিক্ষু সংঘসেনা, ১৯৮৬ সালে লাদাখের রাজধানী লেহ-তে প্রথম মহাবোধি আন্তর্জাতাকি ভাবনা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি এই অঞ্চলে সুবিধা বঞ্চিত বৌদ্ধধর্ম অনুসারীদের ত্রাণকর্ত, তিনি অসংখ্য মানবিক প্রকল্প পরিচালনা করেন অবহেলিত লাদাখে। তার সমাজ সেবামূলক কাজের মধ্যে রয়েছে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য শিক্ষার সুযোগ, অনাথ শিশুদের আশ্রয় প্রদান, নারী ও অন্যান্য সামাজিকভাবে সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন এবং সাক্ষরতা কর্মসূচি, অসুস্থ ও দরিদ্রদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা, বয়স্ক ও নিঃস্বদের জন্য একটি বৃদ্ধশ্রম। বর্তমানে মহাবোধি ইন্টারন্যাশনাল মেডিটেশন সেন্টারের সম্প্রসারিত ক্যাম্পাসটি বহুবিধ সামাজিক-সাংস্কৃতিক এবং সম্প্রদায়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

এই মহান বৌদ্ধ ভিক্ষু সংঘসেনা একাধারে মহাবোধি ইন্টারন্যাশনাল মেডিটেশন সেন্টার এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এবং আধ্যাত্মিক পরিচালক। তিনি মহাকরুণা ফাউন্ডেশন ও সেভ দ্য হিমালয় ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং ইন্টারন্যাশনাল নেটওয়ার্ক অফ এনগেজড বুড্ডিস্ট (আইএনইবি) এর উপদেষ্টা।

লাদাখের অধিবাসিদের আধ্যাত্মিক বিকাশ এবং মানবিক কল্যাণকে একীভূত করার পাশাপাশি, পূজনীয় ভিক্ষু সংঘসেনা আন্তঃধর্মীয় সংলাপ, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উৎসবের মাধ্যমে বৌদ্ধ ও হিমালয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রচারে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।

শেয়ার করে সবাইকে পড়ার সুযোগ দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!