বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে জাতিসংঘ মহাসচিবের বাণী

বুদ্ধপূর্ণিমা: বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধপূর্ণিমা বা ভেসাক ডে কেন্দ্র করে জাতিসংঘ মহাসচিব একটি বাণী প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের অফিসিয়াল ওয়েভ সাইটে। আজ ৫ মে বিশ্বব্যাপী পালিত বুদ্ধপূর্ণিমা বা ভেসাক দিবসকে কেন্দ্র করে জাতিসংঘ মহাসচিব এইটি প্রকাশ করেন।

বাণীতে বর্তমান অশান্ত বিশ্বকে শান্ত করতে বুদ্ধের শিক্ষাকেই একমাত্র পথ হিসেবে বর্ণনা করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। গুতেরেস তার বাণীতে উল্লেখ করেন, বর্তমান অশান্ত, সংঘর্ষময় ও যুদ্ধ প্রবণ বিশ্বে আমাদের একমাত্র শান্তনা বুদ্ধের করুণা মাখা, সহনশীলতা, সহানুভূতি ও মানবাতার শিক্ষা।

নিচে জাতিসংঘ মহাসচিবের বাণীটি বাংলায় অনুবাদ করে দেওয়া হলো-

সংঘর্ষ ও যুদ্ধময় এই সময়ে, বুদ্ধের সহনশীলতা, সহানুভূতি এবং মানবতার সেবার শিক্ষাই আমাদের সান্ত্বনা এবং শক্তির উৎস। আমরা একটি উন্নত ভবিষ্যতের পথে যাত্রাকালে, আসুন আমরা ভেসাক ডে এর শিক্ষাকে মূলনীতি হিসেবে ধরে রাখি। -জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস

বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে জাতিসংঘ মহাসচিবের বাণী

“ভেসাক”, মে মাসের পূর্ণিমার দিন। দিনটি সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ বৌদ্ধদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র দিন। আজ থেকে প্রায় আড়াই সহস্রাব্দ আগে, ৬২৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দের এই বৈশাখী পূর্ণিমা দিনে বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্বলাভ এবং ৮০ তম বছরে মহাপরিনির্বাণ (মৃত্যু) লাভ করেছিলেন। এই কারনে দিনটি ত্রি-স্মৃতি বিজড়িত বুদ্ধপূর্ণিমা বা ভেসাক ডে নামে পরিচিত।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ১৯৯৯ সালের ৫৪/১১৫ এর রেজুলেশনের মাধ্যমে, বিশ্বের প্রাচীনতম ধর্মগুলির মধ্যে অন্যতম বৌদ্ধ ধর্ম আড়াই সহস্রাব্দেরও বেশি সময় ধরে মানব কল্যানে যে অবদান রেখেছে এবং তা অব্যাহত রেখেছে তা স্বীকার করার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে ভেসাক দিবসকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই দিবসটি প্রতি বছর জাতিসংঘ সদর দপ্তর সহ জাতিসংঘের অন্যান্য কার্যালয়, সংশ্লিষ্ট জাতিসংঘ অফিস এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পরিচালিত স্থায়ী মিশন অফিসে যথাযথ মর্যদার সাথে পালিত হয়।

আরো পড়ুন>>

শেয়ার করে সবাইকে পড়ার সুযোগ দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!