সংস্কৃত-পালি শিক্ষকদের বেতনভাতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। হিন্দু ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মীয় শিক্ষা বাংলাদেশ সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনভাতা বৃদ্ধির জন্য আগামী মঙ্গলবার এক সভার আয়োজন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইসে) এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে বিষয়টি জানিয়ে নোটিশ জারি করা হয়েছে।
জানা গেছে, দেশে ২২৭টি সংস্কৃত, পালি টোল, চতুষ্পঠি কলেজ রয়েছে। এগুলোতে ৬ শতাধিক শিক্ষক কর্মরত আছেন। তাদের প্রতিমাসে ১৭৯ টাকা ভাতা দেয়া হয়। প্রতিবছর একবার এসব শিক্ষকদের ১২ মাসের ভাতা পরিশোধ করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এ কলেজগুলো পরিচালিত হয়। এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের এসব কলেজে কাব্যতীর্থ, ব্যাকরণতীর্থ, আয়ুর্বেদতীর্থ, পুরাণ, জ্যোতিঃশাস্ত্র, স্মৃতি, বেদ ও বেদান্ত বিষয়ে তিন বছরের ডিপ্লোমা কোর্সে করানো হয়।
সংস্কৃত-পালি প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর বিষয়ে সভা আহ্বান করে জারি করা নোটিশে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিতব্য সভায় সভাপতিত্ব করবেন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিক আ ন ম আল ফিরোজ। সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কলেজ ও মাধ্যমিক শাখার পরিচালক, বিভাগের বেসরকারি মাধ্যমিক শাখার যুগ্ম সচিব, উপসচিব, অধিদপ্তরের কলেজ ও মাধ্যমিক শাখার উপপরিচালক, সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ডের উপসচিব অসীম চৌধুরী ও সংস্কৃত ও পালি শিক্ষক সমিতির সভাপতি স্বামী চিদানন্দ সরস্বতীকে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।

এর আগে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের মে মাসে সংস্কৃত, পালি শিক্ষকদের কর্মচারীদের বেতন কাঠামোর আওতায় আনার সুযোগ আছে কিনা সে বিষয়ে শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে জানতে চেয়েছিলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নীতিমালা যাচাই করে সংস্কৃত ও পালি টোল শিক্ষকদের বেতন কাঠামোর আওতায় আনার বিষয়ে প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে পাঠাতে বলা হয়েছিলো।