সংস্কৃত ও পালি পরীক্ষার সময়সূচী প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সংস্কৃত ও পালি শিক্ষাবোর্ড, ঢাকা। শিক্ষাবোর্ডের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ১৮ ডিসেম্বর রোজ রবিবার থেকে এবং পরীক্ষা শেষ হবে ২১ ডিসেম্বর ২০২২ সালে। উল্লেখ্য শিক্ষাবোর্ড থেকে বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয় গত ২৪/০৪/২০২২ ইং তারিখে।
বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এতদ্বারা সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, অত্র বোর্ডের অনুমোদিত পাঠ্য তালিকানুযায়ী ২০২২ সালের পরীক্ষা সমূহ নিম্নলিখিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।
সংস্কৃত ও পালি পরীক্ষার সময়সূচী
বিষয় | তারিখ | সময় |
আদ্য ১ম পত্র আদ্য ২য় পত্র | ১৮-১২-২০২২ ইং ০৩ পৌষ, রবিবার, ১৪২৯ বাংলা | সকাল ১০ টা-দুপুর ১ টা অপরাহ্ন ২ টা- বিকাল ৫ টা |
মধ্য ১ম পত্র মধ্য ২য় পত্র | ১৯-১২-২০২২ ইং ০৪ পৌষ, সোমবার, ১৪২৯ বাংলা | সকাল ১০ টা-দুপুর ১ টা অপরাহ্ন ২ টা- বিকাল ৫ টা |
উপাধি ১ম পত্র উপাদি ২য় পত্র | ২০-১২-২০২২ ইং ০৫ পৌষ, মঙ্গলবার, ১৪২৯ বাংলা | সকাল ১০ টা-দুপুর ১ টা অপরাহ্ন ২ টা- বিকাল ৫ টা |
উপাধি ৩য় পত্র উপাদি ৪র্থ পত্র | ২২-১২-২০২২ ইং ০৬ পৌষ, বুধবার, ১৪২৯ বাংলা | সকাল ১০ টা-দুপুর ১ টা অপরাহ্ন ২ টা- বিকাল ৫ টা |
বাংলাদেশ সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড হলো একটি স্বশাসিত শিক্ষাবোর্ড, যারা বাংলাদেশে পালি এবং সংস্কৃত শিক্ষা প্রদানকারী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে। এটি ঢাকার বাসাবো ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারে অবস্থিত।

সংস্কৃতি ও পালি শিক্ষাবোর্ডের ইতিহাস
বাংলাদেশ সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড ১৯১৫ সালে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় বঙ্গীয় সংস্কৃত সমিতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পরে বঙ্গীয় সংস্কৃত সমিতি তিনটি পৃথক শাখায় বিভক্ত হয়েছিল। আসামের জন্য আসাম সংস্কৃত সভা গঠন করা হয়েছিল, পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পূর্ব পাকিস্তান সংস্কৃত সভা এবং পশ্চিমবঙ্গের জন্য বঙ্গীয় সংস্কৃত শিক্ষা সমিতি গঠিত হয়েছিল। পূর্ব পাকিস্তান সংস্কৃত সভার নাম পরিবর্তন করে পাকিস্তান সংস্কৃত এবং পালি শিক্ষা বোর্ডের নামকরণ করা হয়েছিল ১৯৬২ সালে। ১৯৭১ সালেবাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে এর নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড। এই বোর্ডের সচিবদের মধ্যে গোবিন্দ চন্দ্র দেব এবং সুদ্ধানন্দ মাহাথেরোর মতো উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। বোর্ড ১১০টি সংস্কৃত কলেজ, ৮৮ টি পালি কলেজ এবং ৫০ টি পরীক্ষা কেন্দ্রকে অনুমোদন দিয়েছে।
প্রতিষ্ঠান
বাংলাদেশ সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ডের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান হলো চট্টগ্রাম পালি কলেজ। কলেজটি ১৯৩৯ সালে চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন অগ্গমহাপণ্ডিত ধর্মবংশ মহাস্থবির। প্রতিষ্ঠা বছরেই তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন পণ্ডিত দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান মহাথের। তিনি আমৃত্যু এ কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। তার সময়ে কলেজের অনেক উন্নয়ন কাজ ঘটে। তাই তার কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ কলেজের নতুন নামকরণ করা হয় ‘দীপঙ্কর পালি কলেজ
বৌদ্ধধর্মীয় যেকোন খবর পেতে বৌদ্ধ বার্তা ভিজিট করুন নিয়মিত। বৌদ্ধবার্তার ফেইজবুক পেইজটি লাইক ও ইউটিউব চ্যানেলটি সাবসক্রাই করে রাখার অনুরোধ থাকলো।
বৌদ্ধ বার্তার ইউটিউব চ্যানেল Subscribe করতে এখানে ক্লিক করুন।