১,৫০০ কিলোমিটার হেঁটে তীর্থযাত্রায় এক বৌদ্ধ ভিক্ষুঃ ভিডিও

  • স্টাফ রিপোর্টার

থাইল্যান্ডে এক বৌদ্ধ ভিক্ষু ১,৫০০ কিলোমিটার হেঁটে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন তীর্থস্থান ঘুরে তীর্থযাত্রা (ধর্মযাত্রা) সম্পন্ন করার শেষ পর্যায়ে আছেন। গতকাল মঙ্গলবার  (১১ জানুয়ারি) স্থানীয় বাসিন্দারা লুয়াং তা বুন চুয়েন নামে ও ভিক্ষুকে অভ্যর্থনা জানাতে এবং আশীর্বাদ নিতে ভিড় করতে দেখা গেছে।

৭২ বছর বয়সী এই ভিক্ষু খালি পায়ে হেঁটে দক্ষিণ থাইল্যান্ড উপকূলের ফুকেট রিসর্ট দ্বীপ থেকে লাওস সীমান্তবর্তী এলাকা থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্ব সীমান্তে তার নিজ প্রদেশ নাখোন ফানোমে গিয়ে শেষ করবেন তার ধর্মযাত্রা। মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) সকালে নাখোন রাতচাসিমা প্রদেশের বুয়া ইয়াই জেলার মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় শত শত শুভাকাঙ্ক্ষী ও অনুসারীরা নতজানু হয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে লুয়াং তা বুন চুয়েনকে সম্মান জানাতে দেখা গেছে। ঐতিহ্যবাহী থাই ওয়াই ফুলের মালা এবং পানীয় জলের বোতল নিবেদন সহ শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা জানাতে শত শত জনতা ভিড় করে সেখানে।

Luang Ta Bun Chuen
Luang Ta Bun Chuen

পূজনীয় এই ভিক্ষু তার পবিত্র যাত্রার প্রায় শেষ পর্যায়ে, তার যাত্রা পথের একমাত্র বাহন নলাকার লাঠি দিয়ে সমবেত বৌদ্ধ বিশ্বস্তদের মাথায় আলতোভাবে টোকা দিয়ে আশির্বাদ বর্ষণ করতে দেখা গেছে রাস্তার পাশে নতজানু আশির্বাদ প্রার্থীদের। মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) বিকালে তিনি প্রতিবেশী খোন কায়েন প্রদেশের ওয়েং নোই জেলায় পৌঁছেছেন বলে জানা গেছে।

লুয়াং তা বুন চুয়েনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যারা অপেক্ষা করছিলেন তাদের কয়েকজন স্থানীয় মিডিয়াকে জানিয়েছেন লুয়াং তা বুন চুয়েন একজন ধর্মপ্রাণ বৌদ্ধ ভিক্ষু। তিনি সমস্ত বস্তুগত সম্পদ ত্যাগ করে ভাল কাজ সম্পাদনের জন্য তার জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছেন। তিনি শুধুমাত্র পানীয় জলের নিমন্ত্রণ গ্রহণ করেন, যার বেশিরভাগই তিনি স্থানীয় স্কুল এবং হাসপাতালে দান করেন।

লুয়াং তা বুন চুয়েন ২০০৯ সালে বৌদ্ধ শিক্ষা অধ্যয়নের জন্য তার জীবন উৎসর্গ করে ভিক্ষুত্ব জীবন গ্রহণ করেন। গৃহী জীবনে লুয়াং তা বুন চুয়েন একজন স্ত্রী এবং চার সন্তানের সাথে একজন গৃহকর্তা ছিলেন। তিনি ১৯৬৯ সালে ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় সামরিক বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করেছিলেন।

উল্লেথ্য, থাইল্যান্ড একটি থেরবাদ বৌদ্ধ দেশ, ২০১৮ সালের সরকারি আদমশুমারি তথ্য অনুসারে থাইল্যান্ডের মোট ৭০ মিলিয়ন জনসংখ্যার প্রায় ৯৩.৫ শতাংশ বৌদ্ধ।

 

আরো পড়ুন>>

শেয়ার করে সবাইকে পড়ার সুযোগ দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!