কিরগিজস্তানে আবিষ্কৃত একটি ঐতিহাসিক প্রাচীন বৌদ্ধ মন্দির জন সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলে জানা গেছে। ২০১০ আবিষ্কৃত মন্দিরটির ধ্বংসাবশেষটি ইউনেস্কোর তালিকাভুক্ত ক্রাসনায়া রেচকা ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অংশ। চলতি মাসেই এই বিহারটিতে জনসাধারণের প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করা হবে। প্রাচীন বৌদ্ধ মঠটি এক হাজার বছরেরও বেশি আগে নির্মিত হয়েছিল বলে ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্তিকগণের ধারনা। ২০১০ সালে আবিষ্কৃত ক্রাসনায়া রেচকা (নেভাকেটের শহর) এর কাছে এটি দ্বিতীয় বৌদ্ধ মন্দির।
স্থানীয় প্রত্নতাত্ত্বিক ভ্যালেরি কোলচেঙ্কোর মতে, কিরগিজস্তানে একমাত্র সম্পূর্ণ মাটির তৈরী মন্দির এটিই। এখানে ১১ মিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট্য একটি বুদ্ধ মূর্তি রয়েছে। মুর্তিটি গৌতম বুদ্ধের পরিনির্বাণ ভঙ্গিতে শুয়া অবস্থায় রাখা আছে। এই মুর্তিটির কিছু অংশ রাশিয়ান সেন্ট পিটার্সবার্গের একটি ঐতিহ্যবাহী জাদুঘরে রাখা হয়েছে।
“কোলচেঙ্কো বলেন, “আমাদের সমস্ত প্রাচীন বা মধ্যযুগীয় প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান মাটি দিয়ে তৈরি। আমাদের পাথর নেই; আমাদের কাছে আছে বিরল ব্যতিক্রমী মাটির তৈরী সব সম্পদ। এগুলো কেবল মাটি কার্যত ইট নয়।
কোলচেঙ্কো যোগ করেন, ”বুদ্ধ মূর্তিটি ইটের তৈরি ছিল, এর উপরে কাদামাটি দিয়ে মুর্তিটির গায়ে চীবর (কাপড়) এর অবয়ব দেওয়া হয়েছে। একজন বৌদ্ধও মুর্তিটি দেখার অনুমতি ছিল না। শুধু মুখ, হাত ও পায়ের কিছু অংশ দেখার অনমতি ছিল। স্থানীয়রা মনে করতো এটি স্পর্শ করা একধরনের পবিত্রতা অর্জন করার সামিল।”
সেপ্টেম্বর মাসেই এই পবিত্র মুর্তিটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে। এর ফলে যে কোন দর্শনার্থী বা পূণ্যার্থী মুর্তিটি সরাসরি দেখার সুযোগ পাবে।