কলকাতায় খাদ্য সামগ্রী ও শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে সিদ্ধার্থ ইউনাইটেড সোস্যাল ওয়েলফেয়ার মিশন

ভিক্ষু কর্ম রক্ষিত || কলকাতা প্রতিনিধি

স্বামী বিবেকানন্দ এর ১৫৯তম জন্মদিনকে কেন্দ্র করে ৭০০ গরিব-মধ্যবিত্ত পরিবারকে শীতবস্ত্র, খাদ্যদ্রব্য ও ফেইস মাস্ক বিতরণ করেছে সিদ্ধার্থ ইউনাইটেড সোস্যাল ওয়েলফেয়ার মিশন (সূষম), চিনার পার্ক, তেঘরিয়া, কলকাতা-৭০০১৫৭।

আজ ১২ই জানুয়ারি ২০২২ইং মহান বীর পুরুষ স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৯তম শুভ জন্মদিন।।সারা বিশ্বে এই মহান জ্ঞানী ও সাহসী বীর পুরুষকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করে এই দিনটি পালন করা হয়।

স্বামীজির আদর্শকে ধারণ করে তাঁর মত করেই গরীব ও অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল, চাল, বিরিয়ানি ও মাস্ক বিতরণ করার মাধ্যমে দিন পালন করেছে সিদ্ধার্থ ইউনাইটেড সোস্যাল ওয়েলফেয়ার মিশন (সূষম)।

এই মহতি কর্মে উপস্থিত ছিলেন, ভদন্ত বিনয়শ্রী মহাস্থবির (শান্তিনিকেতন); সিদ্ধার্থ ইউনাইটেড সোস্যাল ওয়েলফেয়ার মিশন এর সাধারণ সম্পাদক, ভদন্ত ড. বুদ্ধ প্রিয় মহাথেরো; সোদপুর পৌরসভা কাউন্সিলর শ্রী প্রদীপ বড়ুয়া (পীরা); ৬নং ওয়ার্ড বিধাননগর পৌরসভার কাউন্সিলর পদ প্রার্থী শ্রী সম্রাট বড়ুয়া এবং  আরো অনেকে।

সূষম এর পক্ষ থেকে বৌদ্ধবার্তা ডটকম জানানো হয়েছে, সিদ্ধার্থ ইউনাইটেড সোস্যাল ওয়েলফেয়ার মিশন (সূষম) একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। সূষম এর নেতৃত্বে প্রতি বছর হাজার হাজার হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলিম-খ্রিষ্টান-জৈন-শিখ সহ সকল ধর্মের হাজার হাজার গরিব-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য শীতবস্ত্র, খাদ্যদ্রব্য ও অন্যান্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

সিদ্ধার্থ ইউনাইটেড সোস্যাল ওয়েলফেয়ার মিশন

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সূষম এর এক ঘনিষ্ট সদস্য স্বামীজীর মহত্ব বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ”স্বামীজীর কাছে একদিন এক যুবক এসে বললেন, স্বামীজী, আমি অনেক দলে মিশেছি; কিন্তু সত্য যে কি,সে আজও ঠিক বুঝতে পারলাম না। অনেকেই বলে চোখ বন্ধ করে ধ্যানে নাকি অনেক শান্তি। আমি প্রতিদিন দরজা বন্ধ করে ধ্যানে বসি ও চোখ বন্ধ করে থাকি। কিন্তু তবুও শান্তি পায় না কেন? স্বামীজী বললেন, “শান্তি যদি চাও, ঠিক এর বিপরীতটা করতে হবে। দরজা খোলা রাখতে হবে আর চোখ মেলে চারদিকে থাকাতে হবে। তোমার আশে পাশে কত লোক তোমার সাহায্যের প্রত্যাশায় রয়েছে, তাদের সাহায্য করো-ক্ষুধার্তকে অন্ন দাও, তৃষ্ণার্তকে জল দাত। যথাসাধ্য পরের উপকার করো এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখো- তাতেই মনের শান্তি হবে। সূষম মূলত স্বামীজির এই মহৎ ও মানবিক কর্মকান্ডকেই প্রতিফলন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যাতে সমাজ সুন্দর ও বৈষম্যহীন হয়ে ওঠে।

সাধারণ সম্পাদক, ভদন্ত ড. বুদ্ধ প্রিয় মহাথেরো জানিয়েছেন, সূষম তার এই অতি উত্তম এবং মানুষের পাশে দাঁড়ানো শুধু আজকের নয়, সূষম সৃষ্টিলগ্ন থেকে এই সামাজিক জনকল্যাণমূলক কাজ এবং অসহায় দরিদ্র ও গরিব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের আশীর্বাদক হিসেবে কাজ করে আসছে।

 

আরো পড়ুন>>

শেয়ার করে সবাইকে পড়ার সুযোগ দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!