রাউজানে সম্পন্ন হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মীয় বৃত্তি পরীক্ষা

রাউজান পশ্চিম আধার মানিকে স্থানীয় বৌদ্ধ সংগঠন ”বৌদ্ধ ধর্মীয় যুব ঐক্য পরিষদ” এর আয়োজন ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে বৃহত্তর আধার মানিকের প্রয়াত সকল সংঘ মনিষীদের স্মরণে ৮ম বারের মতন এই ধর্মীয় বৃত্তি পরীক্ষা।

উক্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৩৫০জন ছাত্র ছাত্রীর। পরীক্ষা চলাকালীন সময় অবিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সংগঠনের সভাপতি সৌরভ বড়ুয়ার সঞ্চালনায় বক্তব্য প্রদান করেন ১০ নং পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাবু উজ্জ্বল বড়ুয়া, সংগঠনের  সহ-সভাপতি বাবু প্রান্ত বড়ুয়া সানি, মুল্যবান বক্তব্য প্রদান উপেন্দ্র বিজয় ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বাবু প্রদীপ কুমার বড়ুয়া, শিক্ষক বাবু সুর্দশন বড়ুয়া, বাবু দুকূল মনি বড়ুয়া,বাবু আনন্দ মোহন বড়ুয়া সহ প্রমুখ।

exam

উল্লেখ্য, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বাবু শৈবাল বড়ুয়া এবং পরীক্ষা পরির্দশক হিসেবে ছিলেন,পূজনীয় ভিক্ষু সুপ্রিয়ানন্দ থেরো, জ্ঞানপাল ভিক্ষু সহ দেবপ্রিয় বড়ুয়া, বাপ্পা বড়ুয়া, নপু বড়ুয়া, ডালিম বড়ুয়া, কৌশিক বড়ুয়া, দিকপাল বড়ুয়া, হৃদয় বড়ুয়া, শৈরাজ বড়ুয়া, অভিজিৎ বড়ুয়া, আকাশ বড়ুয়া, জয়া বড়ুয়া, পূজা বড়ুয়া, শূক্লা বড়ুয়া, জয় বড়ুয়া, নিশান বড়ুয়া, ইমন বড়ুয়া, সন্তু বড়ুয়া, জয়তু বড়ুয়া, গৌরব বড়ুয়া, পিয়াল বড়ুয়া, রাজেশ বড়ুয়া, লিপচন বড়ুয়া, রাজেশ বড়ুয়া ২, প্রান্ত বড়ুয়া, সৈকত বড়ুয়া, সৌরভ বড়ুয়া, পুনম বড়ুয়া, সাগর বড়ুয়া, হিমেল বড়ুয়া ও সঞ্জয় বড়ুয়া সাজু।

জানতে চাইলে পরীক্ষা পরিদর্শক বাবু বাপ্পা বড়ুয়া বলেন, এই ধরনের আয়োজন প্রতিটি বৌদ্ধ সমাজে থাকা উচিত। এর মাধ্যমে তিনটি কাজ হয় প্রথমত পূজনীয় মনিষীদের স্মরণ করা হয়, দ্বিতীয়ত কোমলমতি শিশুরা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে গিয়ে ধর্ম সম্পর্কে জানতে পারে সর্বশেষ পূণ্যার্জন হয়।

তিনি আরো বলেন, আমাদের সংগঠন করার মূল উদ্দেশ্য হলো বৌদ্ধ ধর্মকে রক্ষা করা, বৌদ্ধ জাতীর অবক্ষয় রোধে কাজ করা। ভুলভাবে পরিচালিত হয়ে আমাদের বৌদ্ধ ছেলে-মেয়েদের বিপদগামীতা থেকে রক্ষা করা। আমাদের সংগঠনের সকল সদস্য ও এলাকাবাসীর সহযোগীতায় এবার সহ ৮ বার আমরা এই পরীক্ষা সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে। এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ।

exam

পরীক্ষার সিলেবাস সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১ম থেকে ১০ম শ্রেণির সকল শিক্ষার্থীদের শ্রেণি অনুযায়ী তিনটি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে: ক-বিভাগে রাখা হয়েছে, ১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেণি; খ- বিভাগে রাখা হয়েছে, ৪র্থ, ৫ম ও ৬ষ্ঠ শ্রেণিকে এবং গ- বিভাগে রাখা হয়েছে ৭ম, ৮ম, ৯ম ও ১০ম শ্রেণিকে। প্রতিটি ক্লাসের ধর্মীয় পাঠ্যবইকে সংক্ষিপ্ত করে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।

এই ধর্মীয় বৃত্তি পরীক্ষার ব্যাপারে এলাকার সকল শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশেষ আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে।

 

আরো পড়ুন>>

শেয়ার করে সবাইকে পড়ার সুযোগ দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!