বিশ্বাস এবং বিজ্ঞানের উপর মননশীলতা এবং আন্তঃধর্মীয় আলোচনার প্রস্তাব

২০২১ সালের জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন (COP26) আয়োজন করার জন্য প্রস্তাব করেছে The Jodo Shinshu (Buddhist) International Office and the Plum Village’s Earth Holder Community. যা ১ নভেম্বর শুরু হয়ে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।

এর আগে ৩০ অক্টোবর ২০২১ ইং প্রথম ইভেন্ট হিসেবে “বিশ্বাস এবং বিজ্ঞান: ভবিষ্যতের জন্য সমবেদনা” এর উপর একটি আলোচনা সভা হবে। ৩১ অক্টোবর দ্বিতীয় ইভেন্টে একটি বিশেষ মননশীলতার দিন দিয়ে শুরু হবে ১৪ দিনের একটি ধ্যান চক্র যার উদ্দেশ্য “আমাদের মধ্যে এবং আমাদের চারপাশে বসবাসকারী পৃথিবী’র” সাথে সংযোগ স্থাপন করা।

জোডো শিনশু (বৌদ্ধ) আন্তর্জাতিক অফিস দ্বারা আয়োজিত “বিশ্বাস এবং বিজ্ঞান” আলোচনা অনুষ্ঠানটি জুম নামক ভার্সোয়াল অ্যাপে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।

“আমরা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য কী করতে পারি?” এই প্রশ্নের উত্তর খোজাই হবে এই আলোচনার প্রধান উদ্দেশ্য। বিশেষ করে, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য নং ৭, সাশ্রয়ী ও পরিচ্ছন্ন শক্তির ব্যবহার বিষয়ে বিশ্বাস এবং বিজ্ঞান উভয় ভিত্তিক দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা করা হবে। অংশ নিতে রেজিষ্ট্রেশন করুন-

ইভেন্টের মূল বক্তা হিসেবে ‍উপস্থিত থাকবেন জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির অর্থনীতি বিভাগের এনার্জি অ্যান্ড ক্লাইমেট ব্রাঞ্চের গ্লোবাল ক্লাইমেট অ্যাকশন ইউনিটের প্রধান ডঃ মরিয়ম হিনোস্ট্রোজা। হিনোস্ট্রোজা একজন পরিবেশগত অর্থনীতিবিদ যিনি এনার্জি প্ল্যানিংয়ে পিএইচডি করেছেন এবং শক্তি নীতি ও টেকসইতার ক্ষেত্রে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তার সাথে আলোচক হিসেবে যোগ দেবেন চীনে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূত এবং জাতিসংঘের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. পলিথা কোহোনা, ইসলামিক নেটওয়ার্ক গ্রুপ (আইএনজি) এর শিক্ষা পরিচালক ড. জাকারি মার্কউইথ, ইকোসংঘের প্রতিষ্ঠাতা এবং অবসরপ্রাপ্ত বৌদ্ধ আমেরিকার চার্চস (বিসিএ) মন্ত্রী রেভারেন্ড ডন কাস্ত্রো এবং লয়োলা মেরিমাউন্ট ইউনিভার্সিটির ধর্মতাত্ত্বিক গবেষণার ইমেরিটাস অধ্যাপক রেভারেন্ড ডক্টর জেমস ফ্রেডেরিকস।

রেভারেন্ড কাস্ত্রো বলেন, “একজন বৌদ্ধ হতে হলে একজন পরিবেশবিদ এবং একজন সংরক্ষণবাদী উভয়ই হতে হবে। এটাই ইকোসংঘের দৃষ্টিভঙ্গি প্রচারের চেষ্টা।” (ইকোসংঘ)

রেভারেন্ড কাস্ত্রো লিখেছেন, ”বাস্তুশাস্ত্রের পরিপ্রেক্ষিতে, আমাদের পৃথিবীর গভীর সঙ্কটের বিষয়টি বুদ্ধ পুরোপুরি বোঝতেন। তার অদ্বৈততা এবং পরস্পর নির্ভরতার অন্তর্দৃষ্টি একটি মহাজাগতিক স্কেলে প্রয়োগ করা হয়। বৌদ্ধ অধ্যয়নের প্রয়াত অধ্যাপক, ফ্রান্সিস কুক, 1970-এর দশকে বৌদ্ধধর্মকে “মহাজাগতিক বাস্তুশাস্ত্র” হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে, এটি অগভীর অর্থে বাস্তুশাস্ত্র নয় বরং গভীরতম অর্থে “গভীর পরিবেশবিদ্যা”।

”বৌদ্ধ বাস্তুশাস্ত্র শুধু বন ও সমুদ্র ব্যবস্থার অধ্যয়নই নয় মানবিক মূল্যবোধ, পারিবারিক জীবন এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ইত্যাদিকেও অন্তর্ভুক্ত করে।” (ইকোসংঘ)

”পৃথিবীকে রক্ষা করো” শিরোনামে প্রতি বছর ৩১ অক্টোবর একটি বিশেষ দিন পালন করা হয়। দিনটি পালন করা শুরু হয় প্লাম ভিলেজের একটি শাখা “আর্থ হোল্ডার কমিউনিটি” থেকে। প্লাম ভিলেজ হলো ভিয়েতনামী জেন মাস্টার থিচ নাট হান-এর ঐতিহ্যবাহী একটি বৌদ্ধ মঠ।

বৌদ্ধ ঐতিয্যের বিশেষ বিশেষ অনুশীলনগুলো সারাদিন চলবে। অনুষ্ঠানটি প্লাম ভিলেজ ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে লাইভ-স্ট্রিম করা হবে। আগ্রহী তারা এখানে ক্লিক করে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারেন।

আরো পড়ুন>>

শেয়ার করে সবাইকে পড়ার সুযোগ দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!