প্রাতঃকৃত্য
ভোরে ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে প্রাতঃকৃত্য শেষ করে নিকটস্থিত কোন বিহারে, চৈত্য ও বোধি বৃক্ষাদি পবিত্র স্থানে পরিশুদ্ধ মনে যেতে হবে। ফুল, জল, ধূপ ও কপূর প্রভৃতি এবং যে কোন প্রকার পুষ্পসারাদি সুগন্ধ দ্রব্য দিয়ে বুদ্ধ, ধৰ্ম্ম ও সংঘ এই ত্রিরত্নকে পূজা করবেন। পূজার উপযোগী কিছু না থাকলে ভক্তির সহিত কায়মনোবাক্যে বন্দনা প্রকরণোক্ত নিয়মে বন্দনা এবং বিঘ্নবিনাশক ময়ুর পরিত্রাণ, রক্ষাবন্ধন সংযুক্ত সূত্র সমূহ আবৃত্তি করে স্বীয়কৰ্ম্মে রত হবেন। কাজের অধিক ভিড় থাকলে যদিও তা পারা না যায়, শয্যায় শুয়া অবস্থায়ও ত্রিরত্নের গুণ ও রক্ষা বন্ধন সূত্রাদি আবৃত্তি করে স্বীয় কার্যে নিযুক্ত হবেন। বিশেষত যে গৃহে বা যে স্থানে ত্রিরত্নের গুণ, সূত্র ও গাথাদি উচ্চারিত হয়, সে সকল স্থানে যক্ষ রক্ষ ও প্রেত প্রভৃতি অমনুষ্যের কোন উপদ্রব বা ভয় থাকে না এবং নিজ আরব্ধকার্যের অন্তরায় নাশ হয়। কাজেই প্রত্যেক বৌদ্ধেরই ইহ ও পরকালের হিত ও মঙ্গলের জন্য রত্নত্রয়ের গুণ, সূত্র ও গাথাদি মুখস্থ করে প্রাতঃ সন্ধ্যা বন্দনা করা একান্তই কৰ্ত্তব্য। আর তার সঙ্গে শীল সমূহও অখণ্ড ভাবে রক্ষা করতে যত্ন পরায়ণ হবেন। যদি শীল ভঙ্গ হয়েছে বলে সন্দেহ হয়, ভিক্ষুর নিকট গিয়ে পুনঃ শীল সমূহ পূরণ করে নিবেন।
সায়ংকৃত্য
সন্ধ্যায় নিজ কাজ থেকে ফিরে এসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম করে স্নান অথবা হাত মুখ ধুয়ে শান্ত মনে এবং সংযত কায়ে বুদ্ধগুণ স্মরণ করতে করতে বিহার, চৈত্য ও বোধিবৃক্ষ ইত্যাদি পবিত্র স্থানে গিয়ে প্রথম প্রদীপ, বাতি, ধূপ, কপূর, সুগন্ধ চুর্ণ ও সুগন্ধ দ্রব্য প্রভৃতি দ্বারা বুদ্ধ পূজা করবেন, পূজাবসানে বন্দনা ভাবনাদি কাৰ্য শেষে সুবিধা হলে ধৰ্ম শ্রবণ বা ধর্ম বিষয় আলোচনা করবেন। তৎপর বাড়ী ফিরে আহারের পর বসিয়া বা শুইয়া যে কোন একটী অনুস্মৃতি বা মৈত্রী ভাবনা করতে করতে ঘুমাবেন। বুদ্ধভক্তের পক্ষে মৈত্রী ভাবনা জপ করা নিতান্ত উচিত। কারণ আত্মরক্ষার জন্য এর তুল্য শ্রেষ্ঠ মন্ত্র আর নাই। যে ব্যক্তি এইরূপ মৈত্রী ভাবনা বা অনুস্মৃতি ভাবনা করতে করতে শয়ন করেন তার ভাল রকমে নিদ্রা হয়, অথচ সুনিদ্রার হানি হয় না, দুঃস্বপ্ন দেখেন না এবং প্রাতঃকালে সুখে জাগরিত হন।
Nice advice.
Thank you for your nice comment