কিংবদন্তি শিক্ষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবু কিরণ বিকাশ বড়ুয়া মৃত্যুবরণ করেছেন

উখিয়ার ভালুকিয়া পালং গ্রামের কিংবদন্তি শিক্ষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবু কিরণ বিকাশ বড়ুয়া পরলোকগমন করেছেন (অনিচ্চা বতা সাংখারা—–)। ২৭ ডিসেম্বর (সোমবার) ভালুকিয়া পালং গ্রামের নিজ বাড়িতে পরলোকগমন করেছেন এই মহান শিক্ষক। জানা গেছে ২৮ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) ভালুকিয়া পালং তার নিজ গ্রামে অন্ত্যষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।

কিরণ বিকাশ বড়ুয়া তার শিক্ষকতা জীবনে ভালুকিয়া পালং উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

আশির দশকে উখিয়া উপজেলায় শিক্ষার আলো প্রজ্বলনের জন্য যে কয়জন শিক্ষানুরাগী  আলোক বর্তীকা হাতে নিয়ে এগিয়ে এসেছিলেন তার মধ্যে বাবু কিরণ বিকাশ বড়ুয়া অন্যতম।

বিশেষ করে ভালুকিয়া পালং উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালে বিদ্যালয় যখন আর্থিক সংকটে বন্ধ হওয়ার উপক্রম তখন তিনি ঘরে ঘরে গিয়ে ধান-চাল চাঁদা সংগ্রহ করে বিদ্যালয় কার্যক্রম চালিয়ে যান।

এই বিষয়ে তার কয়েকজন ছাত্র অকপটে বলেন, আমরা দেখেছি স্যার কি কষ্ট করে আজকের ভালুকিয়া পালং উচ্চ বিদ্যালয়কে বিদ্যালয়ের রূপ দিয়েছেন। আজকে এই বিদ্যালয় থেকে বের হচ্ছে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষাক, সচিব সহ দেশের গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।

সাদামাটা জীবনে অভ্যস্ত এই শিক্ষক ৫ সন্তানের জনক। ৫ সন্তানের সকলেই উচ্চ শিক্ষিত ও সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা।

এই রত্নগর্ভ শিক্ষক তার ৫ সন্তানের সকলকে বিসিএস হিসেবে রেখে গেছেন আমাদের মাঝে।

তার প্রথম সন্তান অনির্বান বড়ুয়া রাংগামাটি সরকারি কলেজের ইংরেজী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, ২য় মেয়ে রিমি বড়ুয়া ২৭তম বিসিএস কাস্টম অফিসার, ৩য় মেয়ে সিমি বড়ুয়া সহকারী এটর্নি জেনারেল, ৪র্থ সন্তান সুনির্বান বড়ুয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিডি, ৫ম সন্তান সমাপন বড়ুয়া ৩৪তম বিসিএস (পররাষ্ট্র)।

একজন সফল শিক্ষা গুরু যে মহান উদ্দেশ্য নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। ঠিক তেমনি তার হাত ধরে ভালুকিয়া তথা সমগ্র উখিয়া উপজেলার অন্ধকার দূর করে আলো জ্বালতে সক্ষম হয়েছেন।

তার মৃত্যুতে তার রেখে যাওয়া অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী গভীর শোকে শোকাহত। সকলে তার পরলৌকিক শান্তি কামনা করেছে।

 

আরো পড়ুন>>

শেয়ার করে সবাইকে পড়ার সুযোগ দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!